দার্জিলিং
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
দার্জিলিং (নেপালি: दार्जिलिङ) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি শহর ও পুরসভা। এই শহরটি হিমালয়ের শিবালিক পর্বতশ্রেণিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৭০০ ফু (২,০৪২.২ মি) উচ্চতায় অবস্থিত। শহরটি চা শিল্প, বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য ও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের জন্য খ্যাত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের আংশিক স্বায়ত্ত্বশাসিত জেলা দার্জিলিঙের সদর দফতর এই শহরেই অবস্থিত।
দার্জিলিং दार्जिलिङ | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গের শহর | |
ডাকনাম: পাহাড়ের রানি[1] | |
পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের মানচিত্রে দার্জিলিং শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°৩′ উত্তর ৮৮°১৬′ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দার্জিলিং |
বসতি স্থাপন | ১৮১৫, সুগাউলির চুক্তি |
প্রতিষ্ঠাতা | ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | দার্জিলিং পৌরসভা |
• পৌরপ্রধান | প্রতিভা রায়[2] |
• উপ-পৌরপ্রধান | সাগর তামাং |
আয়তন[3] | |
• পশ্চিমবঙ্গের শহর | ১০.৬০ বর্গকিমি (৪.০৯ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১২.৭৭ বর্গকিমি (৪.৯৩ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[4] | ২,০৪২.১৬ মিটার (৬,৭০০.০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[3] | |
• পশ্চিমবঙ্গের শহর | ১,২০,৪১৪ |
• জনঘনত্ব | ১১,০০০/বর্গকিমি (২৯,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৩২,০১৬ |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা ও নেপালি[5] |
সময় অঞ্চল | ভারত মান সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন কোড | ৭৩৪১০১ |
টেলিফোন কোড | ০৩৫৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-৭৬ ও ডব্লিউবি-৭৭ |
লোকসভা কেন্দ্র | দার্জিলিং |
বিধানসভা কেন্দ্র | দার্জিলিং |
ওয়েবসাইট | darjeelingmunicipality |
উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ব্রিটিশ ভারতের ঔপনিবেশিক প্রশাসন এই এলাকায় একটি স্যানেটোরিয়াম ও একটি সামরিক ডিপো স্থাপন করার পর এই শহরের নথিবদ্ধ ইতিহাসের সূচনা ঘটে। এরপর এই অঞ্চলে প্রচুর চা বাগান গড়ে ওঠে এবং চা উৎপাদকেরা কালো চায়ের সংকর উৎপাদন করতে শুরু করেন এবং নতুন ধরনের গাঁজন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবনা করেন। এর ফলে যে বিশেষ দার্জিলিং চায়ের উদ্ভব ঘটে, তা আন্তার্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি লাভ করে এবং বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় কালো চাগুলির মধ্যে অন্যতম আসন গ্রহণ করে।[6] দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এই শহরকে সমতলের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ভারতের যে অল্প কয়েকটি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন এখনও কার্যকরী, তার মধ্যে কয়েকটি এই রেলের অন্তর্গত।
দার্জিলিং শহরে ব্রিটিশ-ধাঁচের একাধিক পাবলিক স্কুল রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসে। লেপচা, খাম্পা, গোর্খা, নেওয়ার, শেরপা, ভুটিয়া, বাঙালি ও ভারতের অন্যান্য জাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর সমাবেশ দার্জিলিঙের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে প্রতিফলিত হয়েছে।[7] ১৯৮০-এর দশকে দার্জিলিং এবং পার্শ্ববর্তী জেলার সদর কালিম্পং ছিল গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল।