দন্তবিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
দন্তবিজ্ঞান বা দন্ত্যচিকিৎসা হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি শাখা। মুখগহ্বর, বিশেষত দন্ত্যবিন্যাস, মৌখিক শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী এবং মুখ ও চোয়াল সংলগ্ন অথবা সম্পর্কিত বিভিন্ন গঠন বা কলা নিয়ে অধ্যয়ন, রোগ নির্ণয়, প্রতিকার ও রোগের চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত।[2] যদিও সাধারণ মানুষের কাছে কেবল দাঁত সম্পর্কিত কিন্তু দন্ত্যচিকিৎসার পরিধি শুধু দাঁতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং করোটি ও মুখের অন্যান্য গঠন আবার চোয়াল ও ললাটের সংলগ্ন গঠনের অন্তর্ভুক্ত। দন্ত্যচিকিৎসা শব্দটি এসেছে দন্তলোজি থেকে। প্রাচীন গ্রিক শব্দ ὀδούς (odoús অর্থাৎ দাঁত) - দাঁতের গঠন, ক্রমবিকাশ ও অস্বাভাবিকতার শিক্ষা দন্তলোজি। বিষয়বস্তুর সাদৃশ্যের কারণে কোন কোন জায়গায় দন্ত্যচিকিৎসা এবং মৌখিক চিকিৎসাশাস্ত্র (মুখের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগের শিক্ষা) দুই নামই ব্যবহৃত হয়।
পেশা | |
---|---|
নাম | |
পেশার ধরন | পেশা |
প্রায়োগিক ক্ষেত্র | স্বাস্থ্যসেবা এবং শল্যচিকিৎসা |
বিবরণ | |
যোগ্যতা |
|
কর্মক্ষেত্র |
|
সম্পর্কিত পেশা |
|
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য 'দন্ত্যচিকিৎসা' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের চিকিৎসা মুলত একজন দন্ত্যচিকিৎসক এবং তার সাহায্যকারীরাই (সহায়ক, যন্ত্রবিদ, থেরাপিস্ট ও অন্যান্য) করে থাকেন। বেশিরভাগ দন্ত্যচিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবেই কাজ করে থাকেন তবে অনেকে দাঁতের হাসপাতালে অথবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও (জেলখানা, সেনাঘাটি) কাজ করেন। হরপ্পা সভ্যতা থেকে পাওয়া দেহাবশেষে ৯০০০ বছর পূর্বেও দাঁতে ছিদ্র করার প্রমাণ মিলেছে।[3] ধারণা করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রথম বিশেষ কাজ ছিল দাঁতের শল্যচিকিৎসা।[4]