তিরুচিরাপল্লী
তামিলনাড়ু রাজ্যের মহানগর / From Wikipedia, the free encyclopedia
তিরুচিরাপল্লী [lower-alpha 2] (উচ্চারণⓘ) (তামিল: திருச்சிராப்பள்ளி, প্রতিবর্ণী. তিরুচ্চিরাপ্পল়্ল়ি) ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের দ্বিতীয় স্তরের প্রধান শহর এবং তিরুচিরাপল্লী জেলার প্রশাসনিক সদর। শহরটি তিরুচি বা ত্রিচি নামেও পরিচিত। এই শহরটি তামিলনাড়ুর সবচেয়ে বাসযোগ্য[6] ও সবচেয়ে পরিষ্কার শহর এবং ভারতে মহিলাদের জন্য পঞ্চমতম সুরক্ষিত শহরের কৃতিত্ব অর্জন করেছে।[7] এটি রাজ্যের চতুর্থ বৃহত্তম শহর, পাশাপাশি চতুর্থ বৃহত্তম শহরপুঞ্জ। শহরটি চেন্নাই থেকে ৩২২ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দক্ষিণে এবং কন্যাকুমারী থেকে ৩৭৯ কিলোমিটার (২৩২ মাইল) উত্তরে রাজ্যের প্রায় ভৌগোলিক কেন্দ্রে অবস্থিত। কাবেরী বদ্বীপ শহরটির ১৬ কিলোমিটার (৯.৯ মাইল) পশ্চিমে শুরু হয়, যেখানে কাবেরী নদী দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে শ্রীরঙ্গম দ্বীপ গঠন করেছে, যা বর্তমানে তিরুচিরাপল্লী সিটি পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শহরটির আয়তন ১৬৭.২৩ বর্গ কিলোমিটার (৬৪.৫৭ বর্গ মাইল) এবং ২০১১ সালের হিসাবে জনসংখ্যা ছিল ৯,১৬,৮৫৭ জন।[lower-alpha 1]
তিরুচিরাপল্লী ত্রিচি, তিরুচি | |
---|---|
মহানগর | |
স্থানাঙ্ক: ১০°৪৮′১৮″ উত্তর ৭৮°৪১′০৮″ পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | তিরুচিরাপল্লী |
অঞ্চল | চোলনাড়ু |
জোন | কাবেরী বদ্বীপ |
সরকার | |
• ধরন | সিটি কর্পোরেশন |
• শাসক | তিরুচিরাপল্লী সিটি পৌর কর্পোরেশন |
• মেয়র | পদ শূন্য |
আয়তন | |
• মহানগর | ১৬৭.২৩ বর্গকিমি (৬৪.৫৭ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ২১১.৫১ বর্গকিমি (৮১.৬৬ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪ |
উচ্চতা | ৮৮ মিটার (২৮৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[lower-alpha 1] | |
• মহানগর | ৯,১৬,৮৫৭ |
• ক্রম | ৪ |
• জনঘনত্ব | ৫,৫০০/বর্গকিমি (১৪,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[1] | ১০,২২,৫১৮ |
বিশেষণ | তিরুচিতে |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬২০ ০xx |
টেলিফোন কোড | ০৪৩১ |
যানবাহন নিবন্ধন | টিএন-৪৫, টিএন-৪৮, টিএন-৮১ |
ওয়েবসাইট | ত্রিচি সিটি পৌর কর্পোরেশন |
তিরুচিরাপল্লী ভারতের প্রাচীনতম জনবহুল শহরগুলির মধ্যে একটি। এর লিপিবদ্ধ ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে শুরু হয়, যখন এটি চোল শাসনের অধীনে ছিল। শহরটি পল্লব, পান্ড্য, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, নায়ক রাজবংশ, কর্ণাটিক রাজ্য ও ব্রিটিশদের দ্বারাও শাসিত হয়েছে। তিরুচিরাপল্লীর সর্বাধিক বিশিষ্ট ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে রকফোর্ট, শ্রীরঙ্গামের রঙ্গানাথস্বামী মন্দির এবং তিরুভানাইকাভালের জাম্বুকেশ্বরর মন্দির, তিরুভানাইকাভাল। প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পারম্ভিক প্রাথমিক চোলদের রাজধানী উড়াইউর বর্তমানে তিরুচিরাপল্লীর একটি সন্নিহিত অঞ্চল। শহরটি ব্রিটিশ ও ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে কর্ণাটকের যুদ্ধগুলিতে (১৭৪৬–১৭৬৩) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শহরটি তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র এবং এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান, যেমন জাতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (এনআইটি), ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অব ইনস্টিটিউট (আইআইএম) এবং ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (আইআইআইটি) রয়েছে। এই শহরে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল বা বিএইচইএল), গোল্ডেন রক রেলওয়ে ওয়ার্কশপ, তিরুচিরাপল্লী অর্ডিনেন্স ফ্যাক্টরি (ওএফটি) এবং ভারী অ্যালো পেনিট্রেটার প্রকল্প (এইচপিপি) এর মতো শিল্প এককগুলির কারখানা রয়েছে। শহর ও আশেপাশের অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক শক্তি সরঞ্জাম উৎপাদনের ইউনিটের উপস্থিতি জন্য এটি "ভারতের জ্বালানী সরঞ্জাম ও ফ্যাব্রিকেশনের রাজধানী" উপাধি অর্জন করেছে। তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিকভাবে ত্রিচিনোপলি সিগার নামে পরিচিত একটি চেরুটের ব্র্যান্ডের জন্য বিখ্যাত, যা ১৯ শতকে যুক্তরাজ্যে প্রচুর পরিমাণে রফতানি হয়।
রাজ্যের একটি প্রধান সড়ক ও রেলওয়ে কেন্দ্র, এই শহরে তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (টিআরজেড) মাধ্যমে উড়ান পরিবেশন করা হয়, যেটি মূলত মধ্য প্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে উড়ান পরিচালনা করে।