তিমি শিকার
From Wikipedia, the free encyclopedia
তিমি শিকার বা হোয়েলিং বলতে তিমিদের শরীরের বিভিন্ন ব্যবহারযোগ্য পদার্থ যেমন - মাংস এবং চর্বির জন্য তাদের শিকার করা বোঝায়। তিমির চর্বি দিয়ে এক ধরনের তেল প্রস্তুত করা যায় যা শিল্প বিপ্লবের সময় ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিমি শিকারকে ঘিরে একটি সংঘবদ্ধ শিল্প গড়ে ওঠে। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে, এটি স্পেন ও ফ্রান্সের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রধান শিল্প হিসেবে গড়ে ওঠে। এ শিল্প সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, এবং বাণিজ্য ও সম্পদের হিসেবে অত্যন্ত লাভজনক হয়। সামুদ্রিক পরিযায়ী প্রাণীদের গমনপথের কিছু কিছু স্থানে অধিক সংখ্যক তিমি বাস করত, যা বহু সংখ্যক তিমি শিকারি জাহাজের লক্ষ্যে পরিণত হয় এবং বিংশ শতাব্দীতেও এই শিল্পের বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। কিছু তিমি প্রজাতির সংখ্যা বিলুপ্তির কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় ১৯৬৯ সাল নাগাদ অনেক দেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়, আর ১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে এই শিল্প সারা বিশ্বব্যাপী বেআইনি ঘোষণা করা হয়। সর্বপ্রথম তিমি শিকার শুরু হয় অন্তত খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৩০০০ সনের দিকে।[1] বিশ্বের উপকূলীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী যেমন - ডলফিন শিকার, ভেসে আসা তিমি প্রভৃতি প্রাণীদের বিভিন্নভাবে ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীতে সংঘবদ্ধ তিমি শিকারি জাহাজ বহরের সাহায্যে শিল্পক্ষেত্রে তিমি শিকারের প্রচলন ঘটে, অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে প্রতিযোগিতামূলক তিমি শিকার শিল্প গড়ে ওঠে আর বিংশ শতকের প্রথম অর্ধেক অংশে তিমি শিকারি জাহাজের সাথে মৎস্য-প্রক্রিয়াজাতকরণ জাহাজের সূচনা হয়। ১৯৩০ এর দশকের শেষ দিকে বছরে প্রায় ৫০,০০০ তিমি হত্যা করা হত।[2] বেশিরভাগ তিমি প্রজাতির সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক হোয়েলিং কমিশন, আই.ডব্লিউ.সি. বাণিজ্যিক তিমি শিকার নিষিদ্ধ করে।[3]
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
বর্তমানে, তিমি শিকার একটি তীব্র বিতর্কের বিষয়। বাণিজ্যিক তিমি শিকার সমর্থনকারী দেশগুলি, বিশেষ করে আইসল্যান্ড, জাপান এবং নরওয়ে নির্দিষ্ট হান্টিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আগ্রহী।[4] তিমি-শিকার বিরোধী দেশসমূহ এবং পরিবেশবাদী দলগুলো এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে। আই.ডব্লিউ.সি.এর স্থগিতাদেশের শর্ত অনুসারে, জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে আদিবাসীদের তিমি শিকার চলতে দেওয়া হবে।[5] গত কয়েক দশক ধরে, পৃথিবীর অনেক অংশে তিমি পর্যবেক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হয়ে উঠেছে। কিছু দেশে এটি তিমি শিকারকে প্রতিস্থাপিত করেছে, কিন্তু কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই দুইটি ব্যবসায়িক মডেল একটি অস্বস্তিকর উত্তেজনাের মধ্যে অবস্থান করছে। অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে প্রদর্শনের জন্য জীবিত সামুদ্রিক প্রাণী (যেমন, বন্দি কিলার হোয়েল) অব্যাহত রয়েছে।