তিব্বতি সংস্কৃতি
এশিয় সংস্কৃতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
তিব্বত তার ভৌগোলিক এবং জলবায়ু পরিস্থিতির বদৌলতে একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতির বিকাশ সাধন করেছে। প্রতিবেশী চীন, ভারত এবং নেপালের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার পরেও, হিমালয় অঞ্চলের প্রত্যন্ততা এবং দুর্গমতা দেশটির স্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রভাবকসমূহ সংরক্ষণ করেছে এবং এর স্বতন্ত্র সংস্কৃতির বিকাশকে উদ্দীপিত করেছে।
সপ্তম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম তিব্বতি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ শক্তিশালী প্রভাব রেখে চলেছে। মূলত ভারত, নেপাল এবং চীন থেকে আগত বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারকরা ভারত ও চীনের চারুকলা ও সামাজিক রীতিনীতি এই ভূখণ্ডে চালু করেছিলেন। তিব্বতের শিল্প, সাহিত্য ও সংগীত সবর্যাতেই প্রচলিত বৌদ্ধ বিশ্বাসের উপাদান রয়েছে এবং বোন্ ধর্মের ঐতিহ্য ও স্থানীয় বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই ভূখণ্ডে বৌদ্ধ ধর্ম নিজেই একটি অনন্য রূপ গ্রহণ করেছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি রচনা সংস্কৃত এবং শাস্ত্রীয় চীনা ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয়েছিল। সভ্যতার সাধারণ সরঞ্জামর্যা চীন থেকে এসেছে, বহির্দেশে থেকে অর্জন করা বিভিন্ন জিনিস এবং দক্ষতার মধ্যে অন্যতম হল মাখন, পনির, যব দ্বারা প্রস্তুতকৃত বিয়ার, মৃৎশিল্প, জলকল এবং মাখন চা নামের জাতীয় পানীয় তৈরী করা।
তিব্বতের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এবং জলবায়ু পরিস্থিতি যাজকবাদের উপর নির্ভরতা প্রণোদিত করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলর্যা থেকে একটি পৃথক রান্নার বিকাশ সাধনকে উৎসাহিত করেছে যা এই উচ্চতায় মানুষের দেহের চাহিদার সাথে খাপ খায়।