ডরিস ডে
মার্কিন অভিনেত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
ডরিস ডে (ইংরেজি: Doris Day; জন্ম: ডরিস ম্যারি অ্যান ক্যাপেলহফ, ৩ এপ্রিল ১৯২২ - ১৩ মে ২০১৯)[1][2] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা, ও প্রাণি-কল্যাণকর্মী। ১৯৩৯ সালে বিগ ব্যান্ডের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর তার প্রথম রেকর্ডিং "সেন্টিমেন্টাল জার্নি" (১৯৪৫) তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাইয়ে দেয়। একক কর্মজীবন শুরুর লক্ষ্যে লে ব্রাউন অ্যান্ড হিজ ব্যান্ড অব রিনাউন ত্যাগ করার পর তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে ৬৫০-এর অধিক গানের রেকর্ড করেন, যা তাকে ২০শ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় ও সমাদৃত সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[3]
ডরিস ডে | |
---|---|
Doris Day | |
জন্ম | ডরিস ম্যারি অ্যান ক্যাপেলহফ (১৯২২-০৪-০৩)৩ এপ্রিল ১৯২২ |
মৃত্যু | ১৩ মে ২০১৯(2019-05-13) (বয়স ৯৭) কারমেল, ক্যালিফোর্নিয়া |
পেশা | অভিনেত্রী, গায়িকা, প্রাণি-কল্যাণকর্মী |
কর্মজীবন | ১৯৩৯-১৯৮৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আল জর্ডান (বি. ১৯৪১; বিচ্ছেদ. ১৯৪৩) জর্জ ওয়েডলার (বি. ১৯৪৬; বিচ্ছেদ. ১৯৪৯) মার্টিন মেলচার (বি. ১৯৫১; মৃ. ১৯৬৮) ব্যারি কমডেন (বি. ১৯৭৬; বিচ্ছেদ. ১৯৮১) |
সন্তান | টেরি মেলচার |
ওয়েবসাইট | dorisday |
ডরিস ধ্রুপদী হলিউড যুগের শেষভাগে রোম্যান্স অন দ্য হাই সিজ (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তার চলচ্চিত্র অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি সঙ্গীতধর্মী, হাস্যরসাত্মক ও নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ক্যালামিটি জেন (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় এবং অ্যালফ্রেড হিচককের দ্য ম্যান হু ন্যু টু মাচ (১৯৫৬) চলচ্চিত্রে জেমস স্টুয়ার্টের বিপরীতে অভিনয় করনে। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে প্রধান নারী তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি রক হাডসনের বিপরীতে পিলো টক ( ১৯৫৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি মিডনাইট লেস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নাট্য অভিনেত্রী এবং টানেল অব লাভ (১৯৫৮), পিলো টক (১৯৫৯), বিলি রোজ্স জাম্বু (১৯৬২) ও মুভ অভার, ডার্লিং (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি পাঁচটি গোল্ডেন গ্লোব হেনরিয়েতা পুরস্কারের মনোনয়ন থেকে তিনটি পুরস্কার অর্জন করেন এবং ১৯৮৯ সালে গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৪ সালে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশের নিকট থেকে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম লাভ করেন। ২০১১ সালে তিনি তার ২৯তম স্টুডিও অ্যালবাম মাই হার্ট প্রকাশ করেন, যা যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ১০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। একই বছর তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। বক্স অফিসে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয়কারী তারকা তালিকায় ২০১২ সালে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন।[4]