জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধাপভিত্তিক বন্ধকরণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধাপভিত্তিক বন্ধকরণ বলতে বায়ুদূষণজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা হ্রাস করা, জলবায়ু পরিবর্তন সীমিত করা এবং জ্বালানি স্বনির্ভরতা জোরদার করার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও উৎপাদন শূন্যে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এটি চলমান নবায়নযোগ্য জ্বালানিগুলিতে স্থানান্তরণ প্রক্রিয়াটির একটি অংশ, তবে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকির কারণে প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই নিবন্ধের কিছু ইংরেজি পরিভাষার সঠিক বাংলা অনুবাদ আবশ্যক। এ কারণে নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
বর্তমানে অনেক দেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে।[5][6][7] কিন্তু তবুও তারা জলবায়ুর লক্ষ্যসমূহ পূরণ করার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণে কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসছে না[8]। তাছাড়া আরও অনেক দেশ পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা জীবাশ্মা জ্বালানী গ্যাস পোড়ানো বন্ধ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেনি।[9]
বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি পরিত্যাগ করার মধ্যে পরিবহন এবং উত্তাপের মতো ক্ষেত্রগুলিতে জীবাশ্ম জ্বালানিকে টেকসই জ্বালানি উৎস দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিকীকরণ, সবুজ হাইড্রোজেন এবং জৈব জ্বালানি। ক্রমান্বয়ে পরিত্যাগ করার নীতিগুলির মধ্যে রয়েছে চাহিদা-পক্ষ এবং সরবরাহ-পক্ষ উভয় ধরনের পদক্ষেপ।[10] চাহিদা-পক্ষের পদক্ষেপগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করে, অন্যদিকে সরবরাহ-পক্ষের উদ্যোগগুলো জ্বালানি খাতের পরিবর্তনের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং নির্গমন হ্রাস করতে উৎপাদন সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করে। জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে তারা যতটা কার্বন নির্গত করে ঠিক ততটাই কার্বন হ্রাস করার জন্য আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।[11] আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা অনুমান করে যে, শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য, বৈশ্বিকভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে তিনগুণ বৃদ্ধি করতে হবে, যা বার্ষিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি হবে।[12][13]