জীবভৌগোলিক অঞ্চলসমূহ
From Wikipedia, the free encyclopedia
জীবভৌগোলিক অঞ্চল বা ইকোজোন (পরিবেশমন্ডল) হ'ল স্থলজ জীবসমূহের বিস্তার-বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি, পৃথিবীর স্থলভাগ-এর বিস্তৃত জীবভৌগোলিক বিভাগ। এগুলি আবার ইকোরিজিয়ন-এ বিভক্ত, যা তাদের বায়োম বা আবাসের ধরনের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
জীবভৌগোলিক অঞ্চল হ'ল পৃথিবীর পৃষ্ঠের এক একটি বৃহত্তর অংশ, যার মধ্যে জীবগুলি দীর্ঘ সময় ধরে আপেক্ষিক বিচ্ছিন্নতায় বিবর্তিত হয়ে আসছে। আপেক্ষিক বিচ্ছিন্নতা হয় ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা। যেমন মহাসাগর, বিস্তীর্ণ মরুভূমি বা উচ্চ পর্বতমালার সীমা, যারা অভিবাসনের পথে বাধা সৃষ্টি করে। একই রকমের সাধারণ জীবভূগোলের উপর ভিত্তি করে, সজীব উপাদানগুলিকে সাধারণভাবে ভাগ করে, এই রকম জীবভৌগোলিক অঞ্চল নির্ধারণ করা হয়। উদ্ভিদবিদ্যার ফ্লোরিস্টিক রাজ্য সংক্রান্ত এবং প্রাণিবিদ্যার প্রাণীবৈজ্ঞানিক ভূগোল অঞ্চল সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে জীবভৌগোলিক অঞ্চল সম্পর্কযুক্ত।
জীবভৌগোলিক অঞ্চলসমূহকে তাদের মধ্যে থাকা জীবের বিবর্তনের ইতিহাস দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এগুলি বায়োম-সমূহের থেকে আলাদা। বায়োমসমূহ একই ধরনের ক্লাইম্যাক্স ভেজিটেশন (চূড়ান্ত উদ্ভিদকুল) হিসাবে চিহ্নিত হয়। প্রতিটি জীবভৌগোলিক অঞ্চলে থাকতে পারে বিভিন্ন বায়োম। যেমন, মধ্য আমেরিকার ক্রান্তীয় আর্দ্র বড়পাতার অরণ্যকে, নিউ গিনির গাছপালার ধরন এবং কাঠামো, জলবায়ু, মৃত্তিকা ইত্যাদির সঙ্গে একই রকম ঠেকতে পারে। কিন্তু এই অরণ্যগুলিতে প্রাণী, ছত্রাক, অণুজীব এবং খুব আলাদা বিবর্তনীয় ইতিহাস-সহ উদ্ভিদ রয়েছে।
প্লেট টেকটোনিক্স-এর কারণে, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস জুড়ে বিশ্বের স্থলভাগের পুনরায় বণ্টন হয়েছিল। বিশ্বের জীবভৌগোলিক অঞ্চলসমূহে জীবিত প্রাণীদের বণ্টনের একটি রূপরেখাও লাভ করেছিল এই প্লেট টেকটোনিক্সের কারণে।