জিমি ওয়েলস
উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আমেরিকান ইন্টারনেট উদ্যোক্তা, পূর্বে আর্থিক ব্যবসায়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
জিমি ডোনাল "জিম্বো" ওয়েলস (ইংরেজি: Jimmy Donal "Jimbo" Wales, /ˈdʒɪmi
জিমি ওয়েলস | |
---|---|
জন্ম | জিমি ডোনাল ওয়েলস (1966-08-10) আগস্ট ১০, ১৯৬৬ (বয়স ৫৭) |
অন্যান্য নাম | জিম্বো |
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পেশা | ইন্টারনেট উদ্যোক্তা, পূর্বে আর্থিক ব্যবসায়ী |
পরিচিতির কারণ | উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা |
উপাধি |
|
উত্তরসূরী | ফ্লোরেন্স ডেভোয়ার্ড |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
পুরস্কার | নিচে দেখুন |
ওয়েবসাইট | jimmywales |
স্বাক্ষর | |
জিমি ওয়েলসের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার হান্টসভিলে। তিনি র্যানডলফ স্কুল নামে একটি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি "ফিনান্স" শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক পড়াকালীন তিনি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন। পরে তিনি ফিনান্স ক্ষেত্রে চাকরি গ্রহণ করেন এবং বেশ কয়েক বছর শিকাগো ফিউচারস ও অপশনস ফার্মে রিসার্চ ডিরেক্টরের পদ অলংকৃত করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি দু'জন সহকারীর সহায়তায় বোমিস নামে একটি পুরুষদের বিনোদন ও প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়ভিত্তিক ওয়েবপোর্টাল প্রতিষ্ঠা করেন। এই ওয়েবসাইটটি থেকেই পরবর্তীকালে উদ্ভূত বিশ্বকোষ নুপিডিয়া (২০০০-২০০৩) এবং তার উত্তরসূরি উইকিপিডিয়ার প্রাথমিক অর্থসংস্থান হয়েছিল।
২০০১ সালে ল্যারি স্যাঙ্গার ও অন্যান্যদের সঙ্গে একযোগে তিনি উইকিপিডিয়া মুক্ত বিশ্বকোষ প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্বকোষের ব্যাপ্তি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে ওয়েলস হয়ে ওঠেন প্রকল্পটির পৃষ্ঠপোষক ও মুখপাত্র। তাকে ঐতিহাসিকভাবে উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলা হলেও, তিনি নিজেকে উইকিপিডিয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ঘোষণা করে "সহ-" পদমর্যাদাটি অস্বীকার করেন।[2][3] ওয়েলস উইকিপিডিয়া-পরিচালনাকারী উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন নামে একটি অ-বাণিজ্যমুখী দাতব্য সংস্থার অছিপরিষদের সদস্য। তিনি পরিষদ-নিয়োজিত "সম্প্রদায়-প্রতিষ্ঠাতা" বা "কমিউনিটি ফাউন্ডার"-এর পদটিতে বৃত রয়েছেন। ২০০৪ সালে, তিনি ও অপর উইকিমিডিয়া অছি অ্যাঞ্জেলা বিজলে মিলে উইকিয়া নামে একটি বেসরকারি ওয়েব-হোস্টিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করেন।
ওয়েলস দু-বার বিবাহ করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ক্রিস্টিনার গর্ভে তার এক কন্যা আছে। ওয়েলস নিজেকে অবজেক্টিভিস্ট এবং কিছু পরিমাণে উদারনীতিবাদী মনে করেন। তার সৃষ্ট উইকিপিডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম বিশ্বকোষে পরিণত হলে টাইম পত্রিকা তাদের ২০০৬ সালের বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নামের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।[4]