চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ
From Wikipedia, the free encyclopedia
চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ (/ˈtʃætəm/ CHAT-əm), নিউজিল্যান্ডের একটি অঞ্চল,[1] দক্ষিণ দ্বীপ-এর পূর্ব দিকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মা) দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জ। দশটির মতো দ্বীপ নিয়ে দ্বীপপুঞ্জটি প্রায় ৬০-কিলোমিটার (৩৭ মা) ব্যাসার্ধের, যার মধ্যে বৃহত্তম হল চ্যাথাম দ্বীপ এবং পিট দ্বীপ। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের পূর্বতম বিন্দু, ফরটি-ফোর অন্তর্ভুক্ত। পূর্বে কৃষিকাজের জন্য পরিষ্কার করা হয়েছিল এমন কিছু দ্বীপ বর্তমানে কয়েক প্রজাতির অনন্য উদ্ভিদ এবং জীবজন্তুর জন্য অভয়ারণ্য হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
স্থানীয় নাম:
| |
---|---|
ভূগোল | |
অবস্থান | দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর |
স্থানাঙ্ক | ৪৪°০২′ দক্ষিণ ১৭৬°২৬′ পশ্চিম |
মোট দ্বীপের সংখ্যা | ১০ |
প্রধান দ্বীপসমূহ |
|
আয়তন | ৯৬৬ বর্গকিলোমিটার (৩৭৩ বর্গমাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ২৯৯ মিটার (৯৮১ ফুট) |
বৃহত্তর বসতি | ওয়েতাঙ্গি |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৬৬৩ (২০১৮ জনগনণা) |
অতিরিক্ত তথ্য | |
সময় অঞ্চল |
|
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) |
|
দ্বীপপুঞ্জটিকে স্থানীয় মোরিওরি ভাষায় রেকোহু ("মিস্টি সান বা কুয়াশাচ্ছন্ন সূর্য"), এবং মাওরি ভাষায় হোয়রেকাউরি নামে ডাকা হতো। চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের প্রাচীন আদিবাসী মোরিওরি লোকেরা প্রায় ১৫০০ অব্দের কাছাকাছি এখানে আসে এবং একটি শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রার বিকাশ ঘটায়। ১৮৩৫ সালে, নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ড থেকে এনগাতি মুতুঙ্গা এবং এনগাতি তামা মাওরি ইউই-এর এক দল সদস্য দ্বীপগুলিতে আক্রমণ করে মোরিওরিদের প্রায় নির্মূল করে দেয়, আর বেঁচে থাকা বাকিদের দাস বানায়। চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ ১৮৪২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিউজিল্যান্ড উপনিবেশের অংশ হয়ে যায়; ১৮৬৩ সালে আবাসিক ম্যাজিস্ট্রেট মোরিওরিদের দাসত্ব থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা করেন।[2]
২০১৩-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা ছিল ৬০০।[3] ওয়েতাঙ্গি মূল বন্দর এবং আবাসভূমি। স্থানীয় অর্থনীতি মূলত সংরক্ষণ, পর্যটন, কৃষিকাজ এবং মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল। চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের কাউন্সিলে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ক্ষমতাসমূহ নিউজিল্যান্ডের ইউনিটারি কর্তৃপক্ষের সমান। চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের নিজস্ব সময় অঞ্চল রয়েছে, যা নিউজিল্যান্ডের বাকী অংশের থেকে ৪৫ মিনিট এগিয়ে।