গর্ভস্রাব
স্বাধীনভাবে টিকে থাকার আগেই ভ্রূণ বা এমব্রায়োর স্বাভাবিক মৃত্যু / From Wikipedia, the free encyclopedia
গর্ভস্রাব, স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত এবং গর্ভাবস্থার বিনাশ হিসাবেও পরিচিত, এটি স্বাধীনভাবে টিকে থাকার পূর্বে একটি গর্ভস্থ সন্তান বা ভ্রূণের স্বাভাবিক মৃত্যু।[1] কিছুজন গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের সময়সীমা নির্ধারন করেন, তারপরের সময়ে ভ্রূণের মৃত্যু মৃত সন্তান প্রসব বলে পরিচিত।[2] গর্ভস্রাবের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল ব্যথা বা ব্যথাহীন যোনিপথে রক্তপাত পরবর্তীকালে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং অপরাধবোধ প্রায়ই ঘটতে পরে.[3][4] টিস্যু এবং ক্লট-এর মতো উপাদানটি গর্ভাশয় থেকে নিঃসৃত হয় এবং বেরিয়ে গিয়ে, যোনীর বাইরে বেরোতে পারে। [5] যখন একজন মহিলার ক্রমাগত গর্ভস্রাব হতে থাকে, বন্ধ্যাত্ব এসে যায়।[6]
গর্ভপাতের ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক পিতামাতা, পূর্বের গর্ভস্রাব, ধূমপান, অতিস্থূলতা,মধুমেহ, থাইরয়েড সমস্যা এবং ড্রাগের ব্যবহার বা মদ্যপান অন্তর্ভুক্ত।[7][8] গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহে(প্রথম ত্রৈমাসিক) প্রায় ৮০% গর্ভস্রাব ঘটে [9] প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রের অন্তর্নিহিত কারণ হল ক্রোমোজোমীয় অসঙ্গতি ।[9][10] গর্ভস্রাবের নির্ণয় পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে যে জরায়ুমুখ খোলা বা বন্ধ আছে কিনা, হিউম্যান কোরিয়নিক গনাডোট্রপিন (এইচসিজি) এর রক্তের মাত্রা পরীক্ষা করা এবং আল্ট্রাসাউন্ড[11] অনুরূপ উপসর্গগুলি তৈরি করতে পারে এমন অন্যান্য অবস্থার মধ্যে পড়ে, অক্টোপিক গর্ভাবস্থা এবং ইমপ্লান্টেশন রক্তস্রাব[9]
সময় থাকতে জন্মপূর্ব যত্নে কখনো কখনো প্রতিরোধ সম্ভব। [12] মাদকদ্রব্য, অ্যালকোহল, সংক্রামক রোগ এবং বিকিরণ এড়ালে গর্ভস্রাবের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে। [12] প্রথম ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সাধারণত কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না।[8][13] বেশীরভাগ গর্ভস্রাব, অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ ছাড়াই সম্পন্ন হয়।[8] মাঝে মাঝে মিসোপ্রস্টল ঔষধ বা অবশিষ্ট টিস্যু অপসারণ করতে ভ্যাকুয়াম আসপিরেসান নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। [13][14] যেসব মহিলাদের রক্তের রিসাস নেতিবাচক (Rh নেগেটিভ) আছে তাদের Rho (D) ইমিউন গ্লবুলিন প্রয়োজন হতে পারে।[8] ব্যথা ঔষধ উপকারী হতে পারে।[13] মানসিক সমর্থন নেতিবাচক আবেগে সহায়ক হতে পারে।[13]
প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায়, গর্ভস্রাব সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা ।[15] মহিলাদের মধ্যে যারা জানেন তারা গর্ভবতী সেক্ষেত্রে গর্ভস্রাবের হার প্রায় ১০% থেকে ২০% , সকল নিষিক্তকরণেনর ক্ষেত্রে, প্রায় ৩০% থেকে ৫০%[7][9] যাদের বয়স ৩৫ এর নিচে ঝুঁকি ১০% যেখানে, এটা প্রায় ৪৫%, যারা ৪০ বছরের বেশি বয়সের। প্রায় ৩০ বছর বয়স থেকে ঝুঁকি বৃদ্ধি শুরু হয়। প্রায় ৫% নারীদের এই বয়সে পরপর দুবার গর্ভস্রাব হয়।[16] কেউ কেউ পরামর্শ দেন যাদের একবার গর্ভস্রাব হয়েছে, মর্মপীড়া কম করতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় "গর্ভপাত" শব্দ ব্যবহার না করতে।[17]