খালসা
From Wikipedia, the free encyclopedia
খালসা (গুরুমুখী: ਖ਼ਾਲਸਾ, পাঞ্জাবি উচ্চারণ: [ˈkʰaːlsaː], আক্ষ. অনু. পরিশুদ্ধ হওয়া – lit. পরিচ্ছন্ন হওয়া) দ্বারা দুইটি দলকে নির্দেশ করে; প্রথমতঃ এমন একটি গোষ্ঠীকে যারা তাদের বিশ্বাস হিসেবে শিখধর্মকে গ্রহণ করেছে,[5] অথবা, সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিখদের বিশেষ একটি দল বা গোষ্ঠীকে।[6] খালসা পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে ১৬৯৯ সালে দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিং কর্তৃক। এটির গঠনকে শিখধর্মের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[7] শিখরা খালসার গঠনের ঘটনাকে বৈশাখী উৎসবের সময় জাঁকজমকের সাথে উদযাপন করে।[8][9][10]
খালসা | |
---|---|
ਖ਼ਾਲਸਾ | |
সক্রিয় | ১৩ এপ্রিল ১৬৯৯ – বর্তমান |
আনুগত্য | ওয়াহেগুরু |
শাখা | খালসা ফৌজ (১৬৯৯ – ১৭৩০'এর দশক) দল খালসা (১৭৩০'এর দশক – ১৭৯৯) শিখ খালসা সেনাবাহিনী (১৭৯৯ – ১৮৪৯) অকালি-নিহাং (১৭০০'এর দশক – বর্তমান) দমদমি টাকশাল (১৭০৬ - বর্তমান) |
ধরন | শিখ ধর্মীয় আদেশ |
সদরদপ্তর | পাঞ্জ তখত, অকাল তখত সাহিব,[1] আনন্দপুর সাহিব[2] |
নীতিবাক্য | দেগ তেগ ফাতেহ |
রং | নেভী ব্লু এবং হলুদ[3][4] |
বার্ষিকী | ভৈশাখী, হোলা মোহাল্লা, বান্দি চোর দিভাস |
কমান্ডার | |
প্রতিষ্ঠাতা | গুরু গোবিন্দ সিং ও মাতা সাহিব কাউর |
পাঞ্জ পেয়ারে |
|
অকাল তখতের জথেদার |
|
প্রতীকসমূহ | |
চিহ্ন | খাণ্ডা |
একক/ব্যক্তিগত নির্দেশক | পঞ্চ কে |
দলীয়/পন্থী নির্দেশক | নিশান সাহিব |
পূর্বসুরি (সেনাদল) | অকাল সেনা |
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে ইসলামি শরীয়াহ আইন চালু করে নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুরকে শরীয়া আইনের অধীনে দোষি সাবস্ত করে শিরোচ্ছেদ করার প্রেক্ষিতে দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিং কর্তৃক খালসা পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়।[11][12][13] গুরু গোবিন্দ সিং কর্তৃক যোদ্ধা হিসাবে খালসাদের নির্বাচন ও দল গঠন করে এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয় নিরাপরাধীদের ধর্মান্তরিত করা হতে রক্ষা করার।[14] খালসা দলের গোড়াপত্তন শিখধর্মে এক নতুন যুগের সূচনা করে। এটি একটি নতুন উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে সূচনা করা হয় এবং খালসা যোদ্ধাদের জন্য নীতিমালা প্রচলন করে। পূর্বতন মাসান্দ পদ্ধতির পরিবর্তে এটি শিখদের অস্থায়ী নেতৃত্বদানের জন্য একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। তদুপরি, খালসা পদ্ধতি শিখ জনগোষ্ঠীকে একটি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী গঠনে তাড়িত করে।[5][15][16]:১২৭