ক্রাকুফ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রাকুফ পোল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও অন্যতম প্রাচীন শহর। লেসের পোল্যান্ড প্রদেশে ভিস্তুলা নদীর তীরে এর অবস্থান। সপ্তম শতাব্দীতে এর পত্তন হয়। [3] ১৫৯৬ সাল পর্যন্ত ক্রাকুফ পোল্যান্ডের রাজধানী ছিল। [4] দেশটির শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ক্রাকুফের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম সুন্দর শহর হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।[5] আদি ক্রাকুফ ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সর্বপ্রথম বিশ্ব ঐতিহ্য।
ক্রাকুফ | |
---|---|
নীতিবাক্য: Cracovia urbs celeberrima | |
পোল্যান্ডে ক্রাকুফের অবস্থান। | |
স্থানাঙ্ক: ৫০°০৩′৪১″ উত্তর ১৯°৫৬′১৪″ পূর্ব | |
দেশ | পোল্যান্ড |
ভোইভোডশিপ | ক্ষুদ্রতর পোল্যান্ড |
শহরের স্বত্ব | ৫ জুন ১২৫৭ [1] |
সরকার | |
• মেয়র | Jacek Majchrowski (I) |
আয়তন | |
• শহর | ৩২৬.৮ বর্গকিমি (১২৬.২ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,০২৩.২১ বর্গকিমি (৩৯৫.০৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২১৯ মিটার (৭১৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (৩১ ডিসেম্বর ২০১৯) | |
• শহর | ৭,৭৯,১১৫ (২nd)[2] |
• জনঘনত্ব | ২,৩৫৯/বর্গকিমি (৬,১১০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১৭,২৫,৮৯৪ |
বিশেষণ | Cracovian |
সময় অঞ্চল | CET (ইউটিসি+1) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | CEST (ইউটিসি+2) |
Postal code | 30-024 to 31–962 |
এলাকা কোড | +48 12 |
ওয়েবসাইট | www.krakow.pl |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | Historic Centre of Kraków |
ধরন | Cultural |
মানক | IV |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | 1978 (2nd session) |
রেফারেন্স নং | 29 |
UNESCO region | Europe |
প্রস্তর যুগের একটি বিক্ষিপ্ত বসতি থেকে কালের ধারায় এটি পোল্যান্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ভাভেল পাহাড়ে একটি ক্ষুদ্র পাড়া বা হ্যামলেটরূপে আধুনিক ক্রাকুফ শহরের সূচনা ঘটে। ৯৬৫ সালে এটি মধ্য ইউরোপের ব্যস্ত ব্যবসাকেন্দ্র হিসাবে কথিত হয়। [3] ১৯১৮ সালে দ্বিতীয় পোলিশ প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার পর বিংশ শতাব্দীজুড়ে ক্রাকুফে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র গড়ে ওঠে। তখন শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে ক্রাকুফ স্বমহিমায় পুনরায় আত্মপ্রকাশ করে। শহরের জনসংখ্যা ৭,৮০,০০০। প্রধান সরণির একশো কিলোমিটার (৬২ মাইল) এলাকার ভেতরে আরো আশি লক্ষ মানুষ বসবাস করে।[6]
নাৎসি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে দখল করার পর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রাকুফকে রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত করে। শহরের ইহুদি বাসিন্দাদের ক্রাকুফ ঘেটো নামে একটি দেয়ালঘেরা এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য করা হতো। তারপর সেখান থেকে তাদের নির্যাতন ও নিধনের জন্য নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়। আউশভিৎজ ও প্লাজো ছিল এই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। [7] তবে শহরটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও বোমাবর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায়।
১৯৭৮ সালে ক্রাকুফের আর্চবিশপ ক্যারল ভোইতলা পোপ দ্বিতীয় জন পল নামে পোপের পদে অভিষিক্ত হন। তিনি ছিলেন ৪৫৫ বছরের মধ্যে প্রথম অ-ইতালীয় পোপ।[8] ঐ বছরই ক্রাকুফ আর কুইটো ইউনেস্কোর প্রথম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। একটি বৈশ্বিক শহর হিসেবেও ক্রাকুফ স্বীকৃতি লাভ করেছে। গথিক, রেনেসাঁ ও বারোক স্থাপত্যকলায় নির্মিত বিভিন্ন ভবন একে শোভা দান করে। ভাভেল ক্যাথেড্রাল, রাজকীয় দুর্গ, সেন্ট মেরির ব্যাসিলিকা, সেন্ট পল ও পিটার চার্চ ও ইউরোপের বৃহত্তম মধ্যযুগীয় বাজার সরণি রাইনেক গ্লাউনি এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।[9] এ শহরের জাগিয়োল্লিওনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও পোল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০০ সালে একে ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে ক্রাকুফ ইউনেস্কোর সাহিত্য নগরী হিসাবে স্বীকৃতি পায়। [10] এছাড়াও এটি ২০১৬-এর জুলাইয়ে বিশ্ব যুব দিবসের স্বাগতিক ছিল।