ক্যামেরা
চিত্র যন্ত্রে ধারণের আলোকীয় কলকৌশল / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্যামেরা বা আলোকচিত্রগ্রাহী যন্ত্র (ইংরেজি: Camera বা Photographic camera) আলোকচিত্র (ফটোগ্রাফ) গ্রহণ ও ধারণের যন্ত্র। দৃশ্যমান স্থির বা গতিশীল ঘটনা ধরে রাখার জন্য এটি ব্যবহার হয়।[1] ক্যামেরা চিত্র রেকর্ড করতে ব্যবহৃত একটি অপটিক্যাল যন্ত্র। প্রাথমিক পর্যায়ে, ক্যামেরায় একটি ছোট গর্ত ( অ্যাপারচার ) দিয়ে সিল করা বাক্স (ক্যামেরার শরীর বা বডি) দেওয়া হয় । এতে ক্যামেরাতে এটি হালকা সংবেদনশীল পৃষ্ঠার (সাধারণত আলোকচিত্রগ্রাহী ফিল্ম বা ডিজিটাল সেন্সর ) উপর একটি চিত্র ক্যাপচার করতে দেয়। কীভাবে আলোক-সংবেদনশীল পৃষ্ঠের উপরে আলো পড়বে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ক্যামেরার বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। লেন্স ক্যামেরায় প্রবেশকারী আলোকে আলোকপাত করে এবং অ্যাপারচারের আকারটি বেশি বা কম আলো ক্যামেরায় আসতে দিতে প্রশস্ত বা সংকীর্ণ করা যায়। এতে শাটার প্রক্রিয়াটি ফটো সংবেদনশীল পৃষ্ঠটি আলোর সংস্পর্শে আসার সময় নির্ধারণ করে। স্থির চিত্র, গতিশীল চিত্র, শব্দসহ চিত্র, রঙ্গিন চিত্র প্রভৃতি এর দ্বারা গ্রহণ করা সম্ভব। ক্যামেরা নামটি লাতিন পদগুচ্ছ কামেরা ওবস্কিউরা থেকে এসেছে, যার অর্থ "অন্ধকার প্রকোষ্ঠ"।[2]
অতীতে আলোকচিত্রগ্রাহী ফিল্ম অর্থাৎ আলোকসংবেদী পর্দায় চিত্রের নেগেটিভ বা ঋণাত্মক ছাপ সংগৃহীত হত। এই ঋণাত্মক চিত্রটিকে পজিটিভ বা ধনাত্মক করার জন্যে আলোকচিত্রের উন্নতিসাধন ("ডেভেলপ") করতে হত। এখন আলোক ডায়োড (ফটোডায়োড) ও সিসিডি-যুক্ত ডিজিটাল ক্যামেরার আবির্ভাবের কারণে আলোকচিত্র গ্রহণ ও ধারণের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে।