কিম জং উন
From Wikipedia, the free encyclopedia
কিম জং উন[3][lower-alpha 2] (কোরীয়: 김정은, কোরীয়: [kim.dʑɔŋ.ɯːn] কিম.জঙ্.উন্;[lower-alpha 3] জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮২[4] বা ১৯৮৩)[lower-alpha 4] একজন উত্তর কোরীয় রাজনীতিবিদ যিনি ২০১১ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা এবং ২০১২ সাল থেকে কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপিকে) এর প্রধান।[lower-alpha 5] ১৯৯৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা কিম জং ইল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তিনি ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ নিজেকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন।[5] তিনি কিম জং ইল ও কো ইয়ং হুই দম্পতির তৃতীয় ও সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।[6] তিনি কিম ইল-সাং-এর পৌত্র, যিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৯৪ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত প্রথম সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন।
সম্মানিত কমরেড কিম জং উন | |
---|---|
김정은 | |
কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক[lower-alpha 1] | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১১ এপ্রিল ২০১২ | |
পূর্বসূরী | কিম জং ইল |
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র বিষয়ক পরিষদের সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৯ জুন ২০১৬ | |
প্রথম উপ রাষ্ট্রপতি | চোয়ে রিয়ং হে |
উপ রাষ্ট্রপতি |
|
প্রধানমন্ত্রী |
|
পূর্বসূরী | নিজেই (জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের ১ম চেয়ারম্যান হিসেবে) |
কোরিয়ান পিপলস আর্মির সুপ্রিম কমান্ডার | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ | |
পূর্বসূরী | কিম জং ইল |
জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ১১ এপ্রিল ২০১২ – ২৯ জুন ২০১৬ | |
উপ চেয়ারম্যান |
|
প্রধানমন্ত্রী |
|
পূর্বসূরী | কিম জং ইল (চেয়ারম্যান হিসেবে) |
উত্তরসূরী | নিজেই (রাষ্ট্র বিষয়ক সভাপতি হিসেবে) |
সর্বোচ্চ গণপরিষদের সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৯ এপ্রিল ২০০৯ – ১১ এপ্রিল ২০১৯ | |
সংসদীয় এলাকা | পেকতুসান ১১১ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (1982-01-08) ৮ জানুয়ারি ১৯৮২ (বয়স ৪২) (উত্তর কোরীয় সূত্র মতে) পিয়ংইয়াং, উত্তর কোরিয়া |
রাজনৈতিক দল | কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | রি সোল জু (বি. ২০০৯) |
সন্তান | কিম জু-এ সহ তিন জন (অনিশ্চিত) |
মাতা | কো ইয়ং হুই |
পিতা | কিম জং ইল |
আত্মীয়স্বজন | কিম পরিবার |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | উত্তর কোরিয়া |
শাখা | উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ২০১০–বর্তমান |
পদ | প্রজাতন্ত্রের মার্শাল |
কোরীয় নাম | |
চোসেঙ্গুল | 김정은 |
হাঞ্ছা | 金正恩[1][2] |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Gim Jeong(-)eun |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Kim Chŏngŭn |
কেন্দ্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক সদস্যপদসমূহ
অন্যান্য পদ
|
২০১১ সালের শেষ দিক থেকেই কিম জং উন রাষ্ট্রের পরবর্তী উত্তরাধীকারের মতো আচরণ শুরু করেন, এবং তার বাবার মৃত্যুর পর কিমকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “মহান উত্তরাধিকারী” হিসেবে ঘোষণা করেন। [7] কিম জং ইলের একটি স্মরণ সভায় উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম পিপলস এস্যাম্বলির সভাপতি কিম ইয়ং নাম ঘোষণা করেন; “সম্মানিত কমরেড কিম জং উন, আমাদের দল, সামরিক বাহিনী ও দেশের সর্বোচ্চ নেতা, যিনি মহান কমরেড কিম জং ইলের আদর্শ, নেতৃত্ব, চরিত্র, গুণাবলী, সাহসিকতা ও বীরত্বের উত্তরাধিকারী লাভ করেছেন।” [8] ২০১১ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতিমণ্ডলীয় নিয়ন্ত্রণ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে, কিম জং উনকে কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদে নিযুক্ত করেন।[9] ২০১২ সালের ১১ই এপ্রিল চতুর্থ দলীয় সম্মেলনে তাকে সদ্য সৃষ্ট পদ কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সম্পাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
তাকে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই কোরিয়ান পিপলস আর্মির সেনাপতি পদে উন্নীত করা হয় এর ফলে তার সর্বোচ্চ অধিনায়ক পদটি আরও দৃঢ় হয়। [10] তার দুটি ডিগ্রি রয়েছে, একটি থেকে কিম ইল সাং বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানের ওপর আরেকটি সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কিম ইল সাং সামরিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
২০১২ সালের ২৫শে জুলাই উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রথম বারের মতো কিম জং ইলের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রকাশ করেন। এতে বলা হয় কিম রি সোল জু-র (কোরীয়: 리설주) সাথে বিবাহিত। [11][12] ২০১৩ সালে দম্পতিটি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।