কালোবাজার
অবৈধ ও চোরাই বাজার / From Wikipedia, the free encyclopedia
কালো বাজার, অপ্রকাশ্য অর্থনীতি, বা ছায়া অর্থনীতি হল এমন একটি চোরাগোপ্তা বাজার বা লেনদেন যার কিছু অবৈধ দিক রয়েছে বা কিছু প্রতিষ্ঠানের বিধিবদ্ধ নিয়ম ভঙ্গ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।[1] যদি কোন নিয়ম নীতি দ্বারা কোনো বস্তু বা সেবার উৎপাদন ও পরিবেশন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তাহলে সেই নিয়ম বা নীতিকে ভঙ্গ করাকে কালো বাজারি বাণিজ্য বলা যাবে কারণ সেই লেনদনটাই অবৈধ। নিষিদ্ধ পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিতরণের সাথে জরিত যে কাউকেই কালো বাজারি বা কালো বাজারের সদস্য বলা যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি, অবৈধ মুদ্রা লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও মানব পাচার কালো বাজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আয়কর ফাঁকি সহ করনিতি ভঙ্গ কারীদেরও অপ্রকাশ্য অর্থনীতির সদস্য বলা যায়।[2][3] যেহেতু করফাঁকি বা কালোবাজারী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ অবৈধ বলে বিবেচিত, সেহেতু কালো বাজারিরা তাদের কর্মকাণ্ড সরকার বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করে।[4] নগদ টাকায় লেনদেন কালো বাজারিদের সবচেয়ে পছন্দের লেনদেন কারণ এটি কর্তৃপক্ষের কাছে সহজে ধরা পরে না।[5] কালো বাজারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হছে নিষিদ্ধ বস্তুর লেনদেন, কর ও নিয়ম ফাঁকি দেয়া বা মূল্য নিয়ন্ত্রণ বা রেশন এড়ানো। সাধারণত এই ধরনের বাজারের সম্পূর্ণ কার্যকলাপ, পণ্য ও সেবার উৎপাদনের বা পরিবেশনের সরকারী বা প্রকাশ্য অর্থনীতির পরিপূরক হিসেবে নির্দিষ্ট নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, উদাহরণস্বরূপ "চোরা বন্য প্রানি শিকারের মাংসের বাজার"।
কালোবাজারকে "ধূসর বাজার" থেকে আলদা হিসেবে ধরা হয়, কারণ ধূসর বাজারের পণ্য বা সেবা, যা আইনি বা বেসরকারী বা অননুমোদিত, পরিবেশন করার সময় মূল নির্মাতার দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অননুমোদিত ভাবে মূল অর্থনীতি থেকে আলাদাভাবে পরিবেশন করা হয়।
কালো টাকা হচ্ছে একটি অবৈধ লেনদেন থেকে প্রাপ্ত আয়, যার ওপর ভিত্তি করে আয়কর ও অন্যান্য কর পরিশোধ করা হয়নি,যা শুধুমাত্র কিছু প্রকারের অর্থ পাচারের মাধ্যমে বৈধ করা যায়। কালো অর্থনীতির গোপন প্রকৃতির কারণে এটার আকার এবং ব্যাপ্তি নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।