কারাবাখ খানাত
ইরানিয়ান এবং পরবর্তীতে রাশিয়ান আধিপত্যের অধীনে থাকা খানাত / From Wikipedia, the free encyclopedia
কারাবাখ খানাত (ফার্সি: خانات قرهباغ - Xānāt ই Qarebāq, আজারবাইজানি: Qarabağ xanlığı ) কারাবাখ এবং আশেপাশের অঞ্চলে ইরানী প্রভাবের অধীনে[4] প্রায় ১৭৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আধুনিক আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান অঞ্চলের একটি আধা-স্বাধীন তুর্কি খানাত ছিল।[5] কাঠামোর দিক থেকে, কারাবাখ খানাত ছিল ইরানি রাজত্বের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ অবধি কারাবাখের প্রশাসনিক ও সাহিত্যিক ভাষা ছিল ফার্সি, আরবি শুধুমাত্র ধর্মীয় অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত হত, যদিও এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মুসলমান তুর্কি উপভাষায় কথা বলত। এটি জাভানশিরের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হত, যারা মূলত তুর্কি উপজাতি এই অঞ্চলের নিম্নভূমিতে বাস করত। ১৭৪৭ সালে, জাভানশির প্রধান পানাহ আলী খান ইরানী শাহ (রাজা) নাদের শাহের (রাজত্বকাল ১৭৩৬-১৭৪৭) মৃত্যুর পরে উদ্ভূত অস্থিরতাকে পুঁজি করে কারাবাখের বেশিরভাগ অংশ দখল করেন। পরের বছর তিনি নাদের শাহের পুত্র এবং উত্তরসূরি আদেল শাহের (রাজত্বকাল ১৭৪৭-১৭৪৮) প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কারাবাখের খান নিযুক্ত করেন। পানাহ আলী খানের শাসনামলে নির্মাণ কার্যক্রম (যেমন বায়াত, শাহ-বুলাঘি এবং পানাহাবাদের দুর্গ) এবং তার নতুন মিত্র দ্বিতীয় শাহনাজারের সহায়তায় চারটি মেলিক রাজ্যের পরাধীনতা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়।
কারাবাখ খানাত Qarabağ xanlığı خانات قرهباغ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৭৪৮–১৮২২ | |||||||||||
১৯০২ সালের রাশিয়ান মানচিত্র অনুযায়ী কারাবাখ খানাতের মানচিত্র। | |||||||||||
অবস্থা | খানাত ইরানের প্রভাবের অধীন[1] | ||||||||||
রাজধানী |
| ||||||||||
প্রচলিত ভাষা | ফার্সী (সরকারি)[2][3] আজারাবাজানি, আর্মেনীয় | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১৭৪৮ | ||||||||||
• বিলুপ্ত | ১৮২২ | ||||||||||
|
রাশিয়ান সাম্রাজ্য ইরান থেকে এর নিয়ন্ত্রণ লাভ করার আগ পর্যন্ত অর্থ্যাৎ কারাবাখ খানাত ১৮০৬ সাল[6] পর্যন্ত অস্তিত্ব ছিল।[7] ১৮১৩ সালে গুলিস্তান চুক্তি অবধি রুশ অন্তর্ভুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি, তখন রুশ-পারস্য যুদ্ধের (১৮০৪-১৩) ফলে ইরানের ফাতহ-আলী শাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কারাবাখকে রাশিয়ার জার আলেকজান্ডারকে সমর্পণ করেন।[8][9] ১৮২২ সালে মুসলিম শাসকদের প্রতি রাশিয়ার সহনশীলতার কয়েক বছর পর খানতে বিলুপ্ত হয় এবং সামরিক প্রশাসনের অধীনে প্রদেশ হিসাবে গঠিত হয়।
১৮০৫ সালের ১৪ মে, ১৮০৪-১৮১৩ সালের চলমান রুশো-পারস্য যুদ্ধের মাঝে চলমান রুশ যুদ্ধের মাঝে ইব্রাহিম খলিল খান এবং রাশিয়ান সেনাপতি পাভেল তিসিসিয়ানভ রাশিয়ার অধীনে কারাবাখ খানাতে স্থানান্তরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যাইহোক, চুক্তির সামান্য মূল্য ছিল, যেহেতু সীমানা ১৮১৩ সালে যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছিল। এই চুক্তি লঙ্ঘনের পর ইব্রাহিম খলিল খান এবং তার বংশধরদের কারাবাখের শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[10] ১৮২২ সালে খানাত বিলুপ্ত করে একটি সামরিক প্রশাসন গঠিত হয়। ১৮২৮ সালের তুর্কমেনচাই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের সাথে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হয়।