কাজী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের জাতীয় কবি / From Wikipedia, the free encyclopedia
কাজী নজরুল ইসলাম (উচ্চারণ: [kad͡ʒi ˈnod͡ʒɾul islam] (শুনুনⓘ); ২৪ মে ১৮৯৯[lower-alpha 1] – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সংগীতকার। তাঁর মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি।
কাজী নজরুল ইসলাম | |
---|---|
উচ্চারণ | [kad͡ʒi nod͡ʒɾul islam] |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৯ আগস্ট ১৯৭৬(1976-08-29) (বয়স ৭৭) ঢাকা, বাংলাদেশ |
মৃত্যুর কারণ | পিক্স ডিজিজ |
সমাধি | কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধ, ঢাকা ২৩.৭৩৫০৬৩৮° উত্তর ৯০.৩৯৪৯৮১৪° পূর্ব / 23.7350638; 90.3949814 |
জাতীয়তা |
|
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯২০–১৯৪২ |
কর্ম | |
রাজনৈতিক দল | কিরতী কিষাণ পার্টি[4][5][6] |
আন্দোলন | বাংলার নবজাগরণ |
অপরাধের অভিযোগ | রাষ্ট্রদ্রোহিতায় প্ররোচণা |
অপরাধের শাস্তি | ৩ মাস কারাদণ্ড |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার |
|
লেখক হিসেবে কর্মজীবন | |
ছদ্মনাম | ধূমকেতু |
ডাকনাম | দুখু মিয়া, তারাক্ষ্যাপা[7] |
ভাষা | |
সময়কাল | আধুনিক |
ধরন | |
বিষয় | |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন |
|
বাদ্যযন্ত্র | |
লেবেল |
|
এর পূর্বে | লেটোগানের দল |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | ব্রিটিশ সাম্রাজ্য |
সেবা/ | ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯১৭–১৯২০ |
পদমর্যাদা | হাবিলদার (সার্জেন্ট) |
ইউনিট | ৪৯তম বেঙ্গলি রেজিমেন্ট |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ |
স্বাক্ষর | |
তাঁর জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[8]
বিংশ শতাব্দীর বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তাকে “জাতীয় কবি“ হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তার মানবিকতা, ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা বোধ এবং নারী-পুরুষের সমতার বন্দনা গত প্রায় একশত বছর যাবৎ বাঙালির মানস পীঠ গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে।