কসোভো ভিলায়েত
উসমানীয় প্রদেশ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভিলায়েত-এ-কসোভো (উসমানীয় তুর্কি: ولايت قوصوه, ভিলায়েত-ই কসোভা;[1] তুর্কি: Kosova Vilayeti; আলবেনীয়: Vilajeti i Kosovës; ম্যাসেডোনীয়: Косовски вилает, কসোভস্কি ভিলায়েত; সার্বীয়: Косовски вилајет, কসোভস্কি ভিলাজেত) ছিল বলকান উপদ্বীপে মহান উসমানীয় সাম্রাজ্যের একটি প্রথম-স্তরের প্রশাসনিক বিভাগ (ভিলায়েত), যার মধ্যে বর্তমান কসোভো এবং উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল। আইনত অটোমানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোর সানজাক (রাস্কা) অঞ্চল নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলটি বার্লিন চুক্তির ২৫ নং অনুচ্ছেদের অধীনে, ১৮৭৮ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ানদের দখলে ছিল। স্কপিয়ে ছিল প্রদেশটির রাজধানী এবং ইস্তাম্বুল ও অটোমানদের ইউরোপীয় প্রদেশগুলির মধ্যবিন্দু হিসাবে এর ভূমিকা ছিল অনেক। প্রদেশটির বৃহত্তম শহর স্কপিয়ের জনসংখ্যা ৩২,০০০, যার পরের অবস্থান হলো প্রিজরেনের, এর জনসংখ্যা ৩০,০০০।
এই প্রদেশটি অটোমান সমাজের একটি অণুজীব হিসাবে ছিল; এখানে ছিল বিভিন্ন জাতি এবং ধর্মের অনুসারীর সমাহার। যেমনঃ আলবেনিয়ান, সার্ব, বসনিয়াক মুসলিমগণ এবং অর্থোডক্স ও ক্যাথলিক উভয়ই মতালম্বী খ্রিস্টান অনুসারীগণ। প্রদেশটি ইহার কারিগরী জনসমৃদ্ধি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু শহরের (যেমন ইপেক; বর্তমান পেজা, সার্বীয়: Peć) এর জন্য বিখ্যাত ছিল, যেখানে স্বতন্ত্র উসমানীয় স্থাপত্য ও গণ স্নানাগার তৈরি করা হয়েছিল, যার কিছু কিছু আজও জনসম্মুখে দৃশ্যমান। আলবেনীয় জাতীয়তার জন্মস্থান, ১৮৭৮ সালে লীগ অফ প্রিজরেন সদস্যদের দ্বারা প্রিজরেনে প্রথম প্রকাশ করা হয়।
প্রথমে ১৮৭৮ সালের সান স্টেফানোর চুক্তি, তারপর একই বছর বার্লিনের সংশোধিত চুক্তির ফলস্বরূপ, যা অটোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করেছিল, কসোভো অটোমান সাম্রাজ্যের জন্য প্রথম প্রতিরক্ষা লাইনে পরিণত হয়। তাই প্রদেশটিতে অটোমান সৈন্যদের বিশাল গ্যারিসন মোতায়েন করা হয়। ১৯১২ সালে প্রথম বলকান যুদ্ধের আগে, প্রদেশের আকার এবং অবস্থান সার্বিয়া এবং মন্টিনিগ্রোকে সাধারণ স্থল সীমান্ত হিসাবে দেখায় নাই। যুদ্ধের পরে, ভিলায়েতের প্রধান অংশ মন্টিনিগ্রো এবং সার্বিয়ার মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং সীমানাগুলিকে ১৯১৩ সালের লন্ডন চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[2] ১৯১৪ সালের ১৪ মার্চ সার্বিয়া রাজ্যের সাথে শান্তি চুক্তির পর উসমানীয় সাম্রাজ্য শেষপর্যন্ত নতুন সীমানাকেও স্বীকৃতি দেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]