কর্ম
ভারতীয় দার্শনিক ধারণা / From Wikipedia, the free encyclopedia
কর্ম (/ˈkɑːrmə/, সংস্কৃত: कर्म, আইপিএ: [ˈkɐɾmɐ] (শুনুনⓘ); পালি: কম্ম, পাঞ্জাবি: ਕਰਮ, রুশ: Карма, তামিল: கர்மா, কন্নড়: ಕರ್ಮ, চীনা: 業, জাপানি: 業, কোরীয়: 업, থাই: กรรม, আরবি: كارما, সিংহলি: කර්ම, হিব্রু ভাষায়: קארמה) হল ক্রিয়া, কাজ বা কাজের ধারণা এবং এর প্রভাব বা পরিণতি।[1] ভারতীয় ধর্মে, শব্দটি আরও নির্দিষ্টভাবে কারণ ও প্রভাবের নীতিকে বোঝায়, প্রায়শই বর্ণনামূলকভাবে কর্মের নীতি বলা হয়, যেখানে ব্যক্তির (কারণ) অভিপ্রায় এবং কর্ম সেই ব্যক্তির (প্রভাব) ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে:[2] ভাল উদ্দেশ্য ও কাজগুলি ভাল কর্ম ও পুনর্জন্মে অবদান রাখে, যখন খারাপ উদ্দেশ্য ও কাজগুলি খারাপ কর্ম ও পুনর্জন্মে অবদান রাখে। কিছু শাস্ত্র অনুসারে, কর্মের সাথে পুনর্জন্মের কোন যোগসূত্র নেই।[3][4]
কর্মের ধারণাটি ভারতীয় ধর্মের বিভিন্ন দর্শন (বিশেষ করে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্ম) এবং তাওবাদের পুনর্জন্মের ধারণার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।[5][6] এই দর্শনগুলি অনুসারে, বর্তমানের কর্ম বর্তমান জীবনে একজনের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে, সেইসাথে ভবিষ্যত জীবনের প্রকৃতি ও গুণমানকে প্রভাবিত করে, অর্থাৎ সংসার চক্রকে প্রভাবিত করে।[7][8] এই ধারণাটি পশ্চিমা জনপ্রিয় সংস্কৃতিতেও গৃহীত হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তির ক্রিয়াকলাপের পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি সেই কর্মের স্বাভাবিক পরিণতি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।