ওয়াল্ট হুইটম্যান
মার্কিন কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক (1819-1892) / From Wikipedia, the free encyclopedia
ওয়াল্টার "ওয়াল্ট" হুইটম্যান (ইংরেজি: Walter "Walt" Whitman) (৩১ মে, ১৮১৯–২৬ মার্চ, ১৮৯২) ছিলেন একজন মার্কিন কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক। মানবতাবাদী হিসেবে প্রসিদ্ধ হুইটম্যান তার রচনায় তুরীয়বাদ ও বাস্তবতাবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন। হুইটম্যান সর্বাধিক প্রভাবশালী মার্কিন কবিদের অন্যতম। তাকে মুক্তছন্দের জনকও বলা হয়।[1] তার রচনা সেযুগে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করে। বিশেষত তার কাব্যসংকলন লিভস অব গ্রাস মাত্রাতিরিক্ত অশ্লীলতার জন্য সমালোচিত হয়।
ওয়াল্ট হুইটম্যান | |
---|---|
জন্ম | (১৮১৯-০৫-৩১)৩১ মে ১৮১৯ ওয়েস্ট হিলস, টাউন অফ হান্টিংটন, লং আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ২৬ মার্চ ১৮৯২(1892-03-26) (বয়স ৭২) ক্যামডেন, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
সমাধিস্থল | ক্যামডেন, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
স্বাক্ষর |
হুইটম্যানের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের লং আইল্যান্ডে। তিনি নিজের কবিতা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, সরকারি করণিক বৃত্তি এবং আমেরিকান গৃহযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক শুশ্রুষাকারীর কাজও করেন। কর্মজীবনের প্রথম ভাগে তিনি ফ্র্যাঙ্কলিন ইভান্স (১৮৪২) নামে একটি টেম্পারেন্স উপন্যাস রচনা করেন। ১৮৫৫ সালে তিনি নিজের অর্থে তার প্রধান গ্রন্থ লিভস অব গ্রাস প্রকাশ করেন। এই কাব্যের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের পাঠযোগ্য একটি আমেরিকান মহাকাব্য রচনা। ১৮৯২ সালে মৃত্যুর পূর্বাবধি তিনি নানাভাবে এই কাব্যটিকে পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত করেছিলেন। জীবনের শেষ দিকে একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি নিউ জার্সির ক্যামডেনে চলে যান। সেখানেই ৭২ বছর বয়সে তার জীবনাবসান হয়। তার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় বহু সাধারণ মানুষ অংশ নেন।[2][3]
হুইটম্যানের কবিতার সঙ্গে সঙ্গে তার যৌনপ্রবৃত্তির বিষয়টিও বহুল আলোচিত। জীবনীকারদের মধ্যে তার যৌনতাবোধ নিয়ে তর্ক থাকলেও, তিনি সাধারণত সমকামী বা উভকামী হিসেবে বর্ণিত হন।[4] যদিও কোনো পুরুষের সঙ্গে হুইটম্যানের যৌন অভিজ্ঞতা ছিল কিনা, তা নিয়েও তার জীবনীকারদের মধ্যে মতবিরোধ আছে।[5] সারাজীবনই হুইটম্যান ছিলেন রাজনীতি সচেতন। তিনি উইলমট প্রোভিসোর সমর্থক ছিলেন এবং দাসত্বপ্রথার বিস্তারের বিরোধিতা করেন। তার কবিতায় জাতিগোষ্ঠীগুলি সম্পর্কে সমতাবাদী সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়। এক সময়ে তিনি দাসত্বপ্রথা বিলোপের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দাসত্ববিলোপবাদী আন্দোলনকে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর মনে করতে শুরু করেন।[6]