ওয়াগনার গ্রুপ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ওয়াগনার গ্রুপ ( রুশ: Группа Вагнера, উচ্চারণ: Gruppa Vagnera), আনুষ্ঠানিকভাবে PMC Wagner নামে পরিচিত[55] (রুশ: ЧВК[lower-alpha 1] «Вагнер», উচ্চারণ: ChVK «Vagner»[56]; আক্ষ. 'Wagner Private Military Company')[6] হলো একটি রুশ আধাসামরিক সংস্থা,[6] যা একটি প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি (PMC) অথবা ভাড়াটে সৈনিকদের একটি নেটওয়ার্ক অথবা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের একটি ডি ফ্যাক্টো প্রাইভেট আর্মি হিসেবে দেখা হয়।[6][57] গ্রুপটি রাশিয়ায় আইন বহির্ভূত কাজ করে। কারণ রাশিয়ায় বেসরকারি সামরিক কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ।[58][59][57] যেহেতু এটি রুশ স্বার্থের সমর্থনে কাজ করে এবং এটি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (MoD) থেকে সরঞ্জাম গ্রহণ করা এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থাপনা ব্যবহার করে, তাই ওয়াগনার গ্রুপকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, জিআরইউ-এর একটি ডি ফ্যাক্টো ইউনিট বলা হয়।[60] যদিও ওয়াগনার গ্রুপ নিজেরা আদর্শগতভাবে চালিত নয়,[61][62] তবে ওয়াগনারের বিভিন্ন উপাদান নব্য-নাৎসিবাদ এবং উগ্র ডানপন্থী উগ্রবাদের সাথে যুক্ত।[6][63][64]
ওয়াগনার গ্রুপ | |
---|---|
Группа Вагнера, ЧВК «Вагнер» | |
অন্য যে নামে পরিচিত | ওয়াগনারিটিস,[3] ওয়াগনার্স,[4] মিউজিসিয়ানস,[5] অর্কেস্ট্রা[4] |
প্রতিষ্ঠাতা | ইয়েভগেনি প্রিগোজিন[6] |
নেতা | |
অপারেশনের তারিখ | ২০১৪–বর্তমান[8] |
সদরদপ্তর | সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া |
আকার | |
মিত্র |
|
বিপক্ষ |
রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস ফ্রিডম অব রাশিয়া লেজিয়ন |
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ | রুশ ফেডারেশন দ্বারা ক্রিমিয়া দখল[14][15]
দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধ (সামরিক প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা)[30] সুদানী বিপ্লব[39]
|
যার দ্বারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে মনোনীত | |
Alternative logos |
ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয় যে, ওয়াগনার গ্রুপকে রাশিয়ার বিদেশি রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপে হতাহত ও আর্থিক ব্যয় অস্বীকার বা গোপন রাখতে[65] ব্যবহার করা হয়। ইউক্রেনের দোনবাসের যুদ্ধের সময় এই গোষ্ঠীটি সুপরিচিত হয়, যেখানে এটি ২০১৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত স্ব-ঘোষিত দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে সাহায্য করেছিল।[6] এর অংশীদাররা সিরিয়া, লিবিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং মালির গৃহযুদ্ধ সহ বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতে অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সাধারণত তারা রুশ সরকারের সাথে জোটভুক্ত বাহিনীর পক্ষে লড়াই করে থাকে।[6] ওয়াগনার কর্মীদের যেসব এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেসব জায়গায় যুদ্ধাপরাধ হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।[6][66][67] অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের ধর্ষণ ও ছিনতাই,[68] সেইসাথে অভিযুক্ত মরুবাসীদের নির্যাতন।[69][70]
ওয়াগনার ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে এই বাহিনীটি ইউক্রেনীয় নেতাদের হত্যার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।[71] অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে, এটি সম্মুখ যুদ্ধের জন্য রাশিয়ারব কারাগারে থাকা বন্দীদের এনে নিয়োগ করেছে।[72][73] ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগের সমন্বয়কারী জন কিরবি দাবি করেছিলেন যে, ওয়াগনারের ইউক্রেনে ৫০,০০০ যোদ্ধা রয়েছে, যার মধ্যে ১০,০০০ চুক্তিভিত্তিক এবং ৪০,০০০ কারাবন্দী রয়েছে।[74] অন্যদের দাবি নিয়োগপ্রাপ্ত কারাবন্দীর সংখ্যা ২০,০০০[75] এবং ইউক্রেনে উপস্থিত পিএমসি বাহিনীর সামগ্রিক সংখ্যা আনুমানিক ২০,০০০।[76] ২০২৩ সালে, রাশিয়া আক্রমণে অংশ নেওয়া ওয়াগনার চুক্তিভিত্তিক সদস্যদের প্রাক্তন সামরিক করেমীর মর্যাদা দিয়েছে।[77]
কয়েক বছর ধরে ওয়াগনার গ্রুপের সাথে সম্পর্ক অস্বীকার করার পর, পুতিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত একজন ব্যবসায়ী ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে স্বীকার করেন যে তিনি আধাসামরিক গোষ্ঠীটির "প্রতিষ্ঠা" করেছেন। তিনি বিশেষভাবে ঘোষণা করেন, "আমি গর্বিত যে আমি আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষার অধিকার রক্ষা করতে পেরেছি"।[78][79]
২৩ জুন ২০২৩-এ, প্রিগোজিন রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে তার গ্রুপের লোকদের আক্রমণ করার অভিযোগ করে রুশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।[80] প্রিগোজিনের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, ওয়াগনার ইউনিটগুলো ইউক্রেন থেকে তুলে আনা হয় এবং রাশিয়ার রোস্তভ ওব্লাস্টের রোস্তভ-ন্য-দানুতে স্থানান্তরিত করা হয়।[81][82]