এরিক রোমের
ফরাসি চলচ্চিত্র ও মঞ্চনাটক পরিচালক, সমালোচক, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, তাত্ত্বিক ও শিক্ষক / From Wikipedia, the free encyclopedia
জঁ মারি মোরিস শেরের (ফরাসি: Jean Marie Maurice Schérer) বা মোরিস অঁরি জোযেফ শেরের (Maurice Henri Joseph Schérer) (জন্ম ২১শে মার্চ ১৯২০[1] – ১১ই জানুয়ারি ২০১০) একজন ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক , চলচ্চিত্র সমালোচক , সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক, চিত্রনাট্যকার ও শিক্ষক ছিলেন। তিনি এরিক রোমের (Éric Rohmer; আ-ধ্ব-ব: [eʁik ʁomɛʁ]) নামেই পরিচিত ছিলেন।
এরিক রোমের | |
---|---|
জন্ম | মোরিস অঁরি জোযেফ শেরের বা জঁ-মারি মোরিস শেরের (১৯২০-০৩-২১)২১ মার্চ ১৯২০ ত্যুল, ফ্রান্স |
মৃত্যু | ১১ জানুয়ারি ২০১০(2010-01-11) (বয়স ৮৯) প্যারিস, ফ্রান্স |
পেশা | |
কর্মজীবন | ১৯৪৫–২০০৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | তেরেজ শেরের (বি. ১৯৫৭) |
সন্তান | ২ |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফরাসি নবকল্লোল পর্বের চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে রোমের সর্বশেষ পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তিনি ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রভাবশালী চলচ্চিত্র গবেষণা সাময়িকী কাইয়ে দ্যু সিনেমা-র সম্পাদক হিসেবে কাজ করে। সেসময় তাঁর সহকর্মীরা (যাদের মধ্যে জঁ-ল্যুক গদার ও ফ্রঁসোয়া ত্র্যুফো-র নাম উল্লেখ্য) সমালোচক থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছিলেন ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করছিলেন।
রোমের নিজে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে এসে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করেন; সেবছর তাঁর নির্মিত মা ন্যুই শে মো (Ma Nuit chez Maud, "মো-র বাসায় আমার এক রাত") অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করে।[2] এরপর ১৯৭১ সালে তিনি সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে ল্য জ্যনু দ্য ক্লের (Le Genou de Claire "ক্লেরের হাঁটু" ; ১৯৭০) -এর জন্য এবং ১৯৮৬ সালে ল্য রেইয়োঁ ভের (Le Rayon Vert, "সবুজ রশ্মি") চলচ্চিত্রটির জন্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০০১ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে রোমার তাঁর সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতস্বরূপ একটি সোনালী সিংহ পুরস্কার লাভ করেন।
২০১০ খ্রিস্টাব্দে রোমের-এর মৃত্যুর পরে তার মৃত্যুসংবাদে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ তাঁকে "ফরাসি নবকল্লোলের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা" হিসেবে বর্ণনা করা হয়, বলা হয় তিনি তাঁর সমসাময়িক সবাইকে ছাড়িয়ে কর্মজীবনের শেষ পর্বে এসেও "দর্শক দেখতে চায়, এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চলেছিলেন।"[3]