উপনিবেশবাদ
এক গোষ্ঠীর আরেক নির্ভরশীল গোষ্ঠীর ওপর প্রভুত্বের চর্চা / From Wikipedia, the free encyclopedia
উপনিবেশবাদ বলতে একটি দেশ কর্তৃক অন্য একটি দেশের উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে বোঝায়[1] , যা প্রায়ই উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। সাধারণত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে উদ্দেশ্য থাকে অর্থনৈতিক আধিপত্য। উপনিবেশ শব্দটি এমন একটি শব্দ, যা ঔপনিবেশিক এবং উপনিবেশের মধ্যে অসম সম্পর্ক এবং প্রায়ই ঔপনিবেশিক ও আদিবাসীদের মধ্যে অসম সম্পর্ক বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
১৭০০ –১৮০০ এর দশকে ইউরোপের ধনী, শক্তিশালী দেশগুলি (যেমন: ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস) আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপন করে।
এই ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক সময় ছিল ১৬শ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যে, যখন ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র দ্বারা এশিয়া, আফ্রিকা ও আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে অনেকগুলো উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থনীতি ব্যয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী অবকাঠামো প্রণয়ন জোরদার করার জন্য প্রথমে তারা একটি বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করে। ফলে তখন উপনিবেশগুলো শুধুমাত্র মাতৃদেশের সাথে বাণিজ্য করার জন্য অনুমোদিত ছিল। ১৯শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাণিজ্যনীতি এবং তার অন্তর্ভুক্ত সকল নিষেধাজ্ঞা অপসারণ এবং চালু নীতি প্রণয়ন করেন এবং এর পরিবর্তে মুক্ত বাণিজ্য প্রণয়ন করে। তখন থেকে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো শক্ত ভিত স্থাপন শুরু করে এবং একপর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নেয়।