উপকূলীয় ভাঙন
উপকূলজুড়ে ভূমির ভাঙন / From Wikipedia, the free encyclopedia
উপকূলীয় ভাঙন বলতে প্রবাহ, মহাসাগরীয় স্রোত বা জোয়ার-ভাটা, পানিতে বাতাসের স্রোত, পানিবাহিত বরফ এবং ঝড়ের অন্যান্য প্রভােবের কারণে অন্যান ভূমি হারানো বা স্থানান্তরিত হওয়া অথবা তটরেখার পলি-পাথরের পানিতে তলিয়ে যাওয়াকে বােঝায়।[1][2][3] উক্ত উপাদানগুলোর ক্রিয়ায় উপকূলীয় ভূমি দূর্বল হয়ে পড়লে এবং উপকূলীয় ভাঙন ঘটে। জোয়ার-ভাটা, মৌসূম এবং অন্যান্য ছোট পর্যায়বৃত্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে ভূমির দিকে তটরেখার এগিয়ে আসা আপাত মাত্রায় মাপা যায়।[4] উপকূলীয় ভাঙন হাইড্রোলিক্স ক্রিয়া, ঘর্ষণ এবং বায়ু, পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক-অপ্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান কর্তৃক জারণের কারণে ঘটতে পারে।[4]
উচু মৃত্তিকাস্তরহীন উপকূলে, উপকূলীয় ভাঙনের ফলে ভাঙন রক্ষিত অঞ্চলগুলোতে উচু মৃত্তিকাস্তর তৈরি হতে পারে। উপকূলীয় ভাঙনে হালকা অঞ্চল শক্ত অঞ্চলের চেয়ে তুলনামূলক দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যার ফলে সুড়ঙ্গ, সেতু এবং স্তম্ভের মতো আকারের ভূমি গঠিত হতে পারে। সময়ের সাথে সাথে উপকূলও সমান হয়ে যায়। ভাঙনের ফলে কঠিন অঞ্চলের ক্ষয়প্রাপ্ত পলি দ্বারা নরম অঞ্চলগুলো ভরে যায় এবং কঠিন অঞ্চলে মৃত্তিকাস্তর গঠন লোপ পায়।[5] প্রবল বাতাস, নরম বালি এবং নরম মৃত্তিকা স্তর যেসব অঞ্চলে বিদ্যমান সেগুলোতে ঘর্ষণ বেশি সংঘটিত হয়। মিলিয়ন মিলিয়ন ধারালো বালির দানার বাতাসের সাথে প্রবাহিত হওয়ার ফলে একটি সেন্ডব্লাস্টিং ইফেক্ট দেখা দেয়। এটি মৃত্তিকাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হতে, মসৃণ এবং পরিষ্কার করে। ঘর্ষণ বলতে এক্ষেত্রে বোঝায় যে, মৃত্তিকাস্তরের অন্য মৃত্তিকাস্তর বা ধারালো বালির দানা যান্ত্রিক ক্রিয়া দ্বারা চূর্ণন বা অতিবাহিত হওয়া।