ইসলাম এবং পারিবারিক সহিংসতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলাম এবং পারিবারিক সহিংসতার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। এমনকি মুসলমানদের মধ্যেও শরীয়তের সমন্নয় ও বিশ্লেষণ নিয়ে মতভেদ আছে। এটা ইসলামী আইন, নৈতিকতা ও ধর্মীয় বিষয়কে একত্রিত করে।
পবিত্র কোরআনের সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের প্রচলিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, বৈবাহিক সম্পর্কে নারীদের মারধর করাকে বৈধ মনে করা হয়েছে এবং এটা গুরুতর কারণ নয়। যেমন মেসওয়াক দিয়ে আঘাত করলে যেমন ব্যথা লাগে এবং দেহে কোন প্রভাব পড়ে না, ঠিক সে রকম ভাবে স্ত্রীকে আঘাত করা যায়। তদ্রূপ এ আয়াত দ্বারা নারীকে তার ভুল সম্পর্কে অবহিত করা, তাকে অপরাধের বিষয়ে অবহিত করা, তাকে নির্যাতন করা এবং অপমান করাকে ইসলাম অস্বীকার করে এবং নিন্দা করে। এ আয়াত একজন মহিলাকে মারধর সমর্থন করে না বরং সে যেন তাকে একটু পরিত্যাগ করে। ব্যাখ্যার বৈচিত্র্য অনুযায়ী ইসলামী আইনশাস্ত্রের বিভিন্ন মাযহাব, ঐতিহাসিক ঘটনা, ধর্মীয় নীতি, ফতোয়া এবং শিক্ষার কারণে তারতম্য হয়।[1]
মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা একটি জটিল মানবাধিকার বিষয়। এটি জাতিভেদে মহিলাদের জন্য বিভিন্ন আইনি বিষয় পার্থক্য করে। তারা তাদের স্বামীদের থেকে আলাদা হওয়ার সুযোগ কতটা পায় তা দেখার বিষয়। সাংস্কৃতিক প্রবণতা, লজ্জার অনুভূতির কারণে নারীরা আইনি সহযোগিতা থেকে দূরে থাকে। ফলে তারা সহিংস আচরণের স্বীকার হলেও প্রমাণ লুকিয়ে রাখে, সেটা পুলিশকে বলে না এবং বিচার ব্যবস্থার কাছে যায় না।