ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী
ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর একটি শাখা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (ফার্সি: سپاه پاسداران انقلاب اسلامی, প্রতিবর্ণীকৃত: Sepâh-e Pâsdârân-e Enghelâb-e Eslâmi, ইংরেজি: Islamic Revolutionary Guard Corps; সংক্ষেপে সেপাহ বা আইআরজিসি) হল ইরানি সামরিক বাহিনীর একটি শাখা যা ১৯৭৯ সালের ২২শে এপ্রিল ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর[4] আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নির্দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়।[5] ইরানি সংবিধান অনুসারে ইরানি সেনাবাহিনী দেশটির সীমান্ত প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকে, অন্যদিকে ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (পাসদারান) ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।[6] ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী ইসলামি শাসনব্যবস্থার নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি বৈদেশিক হস্তক্ষেপ, সামরিক অভ্যুত্থান বা ভ্রষ্ট আন্দোলন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।[7]
ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী | |
---|---|
সিলমোহর | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৯; ৪৫ বছর আগে (1979) |
সার্ভিস শাখা |
|
প্রধান কার্যালয় | তেহরান, ইরান |
নেতৃত্ব | |
চিফ কমান্ডার | মেজর জেনারেল হোসেন সালামি |
ব্রাঞ্চ কমান্ডার |
|
লোকবল | |
বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগ | ≈ ৫০,০০০ (২০১৯), মূলত বাসিজের সক্রিয় সদস্যদের থেকে নিযুক্ত[1] |
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ | ≈ ১৯০,০০০ (২০২০)[2] ≈ ৪০,০০০ আধাসামরিক কর্মী (২০২০)[2] |
ব্যয় | |
বাজেট | $৬.৯৬ বিলিয়ন (২০২০)[3] |
সম্পর্কিত নিবন্ধ | |
ইতিহাস | ইরান-ইরাক যুদ্ধ ১৯৭৯ সালের কুর্দি বিদ্রোহ লেবানিজ গৃহযুদ্ধ ২০০১ সালের হেরাত অভ্যুত্থান বালুচিস্তান সংঘাত ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধ ইরান–পিজেএকে সংঘাত সিরীয় গৃহযুদ্ধ ইরাকি গৃহযুদ্ধ (২০১৪–২০১৭) |
মর্যাদাক্রম | ইরানি সামরিক বাহিনীর পদক্রম |
আনুষ্ঠানিক পতাকাসমূহ |
বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী মিলিয়ে অন্তত ২৫০,০০০ সামরিক কর্মী রয়েছে। এর নৌবাহিনীটি বর্তমানে পারস্য উপসাগরের সক্রিয় নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত মুখ্য বাহিনী।[8] এছাড়া এটি ৯০,০০০ সক্রিয় কর্মী নিয়ে গঠিত আধাসামরিক বাসিজ মিলিশিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।[9][10] এর গণমাধ্যম শাখার নাম সেপাহ নিউজ।[11]