ইনলে হ্রদ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইনলে হ্রদ( বর্মী : အင်းလေးကန် ; MLCTS : ang : le: kan , [ʔɪ́ɰ̃lé kàɰ̃] ) হল শান রাজ্যের নিয়াংশ্বে শহরে অবস্থিত একটি স্বাদুজলের হ্রদ। এটি মায়ানমারের শানমার পাহাড়ে অংশ, সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। এটির আনুমানিক ক্ষেত্রফল ৪৪.৯ বর্গ মাইল (১১৬ বর্গকিমি ), এবং সর্বোচ্চ ২,৯০০ ফুট (৮৮০ মিটার) উচ্চতার হ্রদ। শুষ্ক মৌসুমে , জলের গড় গভীরতা ৭ ফুট (২.১ মিটার), গভীরতম বিন্দুতে ১২ ফুট (৩.৭ মিটার)। বর্ষাকালে এটি ৫ ফুট ( ১.৫ মিটার) বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
ইনলে হ্রদ | |
---|---|
অবস্থান | শান রাজ্য |
স্থানাঙ্ক | ২০°৩৩′ উত্তর ৯৬°৫৫′ পূর্ব |
ধরন | পলিমিটিক হ্রদ |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | নাম পিলু |
অববাহিকার দেশসমূহ | মায়ানমার |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৪৪.৯ মা২ (১১৬ কিমি২) |
গড় গভীরতা | ৫ ফু (১.৫ মি) (dry season) |
সর্বাধিক গভীরতা | ১২ ফু (৩.৭ মি) (dry season; +5 ft in monsoon season) |
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | ২,৯০০ ফু (৮৮০ মি) |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | ইনলে হ্রদ রামসার এলাকা |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ৫ ডিসেম্বর ১৯৭৪ |
রেফারেন্স নং | ২৩৫৬[1] |
হ্রদের জলাভূমি এলাকা হ্রদের উত্তর এবং পশ্চিমে বিস্তৃত। হ্রদটির দক্ষিণ প্রান্তে 'নাম পিলু' বা 'বালু চাউ' প্রবাহিত হয়। এর উত্তর-পশ্চিম তীরে একটি উষ্ণ প্রস্রবণও রয়েছে।
হ্রদের একটি বড় অংশ ভাসমান গাছপালা দ্বারা আবৃত। এর স্বচ্ছ জল সামান্য ক্ষারীয় ( পি এইচ মাত্রা ৭.৮-৮) হওয়ায় এটি বৈচিত্র্যময় প্রাণীর আবাসস্থল এবং অনেক প্রজাতি পৃথিবীর আর কোথায় পাওয়া যায় না ( এন্ডেমিক )। [2] সতেরটি স্থানীয় মাছ সহ পঁয়ত্রিশটিরও বেশি দেশীয় প্রজাতির মাছ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি, বিশেষ করে সাবওয়া বার্ব , রেড ডোয়ার্ফ রাসবোরা , পান্না বামন রাসবোরা , লেক ইনলে ড্যানিও , ইনলে লোচ এবং ইনলে স্নেকহেড অ্যাকোয়ারিয়ামে ব্যবহার্য রঙীন মাছের বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে। দেশীয় নয় এমন বেশ কিছু মাছেরও প্রচলন হয়েছে । [2][3] উপরন্তু, হ্রদটি ৩০ টি স্থানীয় প্রজাতির সঙ্গে প্রায় ৪৫ প্রজাতির মিঠাজলের শামুকের আবাসস্থল [2] এবং এর সাথে 'ইনলেথেলফুসা অ্যাকান্থিকা' নামের ছোট স্থানীয় স্বাদু জলের কাঁকড়াও হ্রদে রয়েছে। [4] প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ২০,০০০ সীগাল জাতীয় পরিযায়ী সামুদ্রিক পাখির আশ্রয় প্রদান করে হ্রদটি। [5]
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে হ্রদটির জন্য ইউনেস্কোর বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের মায়ানমারের প্রথম মনোনীত স্থান লাভ করে [6] এবং ইউনেস্কোর ২৭তম 'ম্যান অ্যান্ড দ্য বায়োস্ফিয়ার (এমএবি) কার্যক্রমে ইন্টারন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটিং কাউন্সিল (আইসিসি) সভায় ২০ টি যোগদানকারী সদস্য দেশের সঙ্গে যোগদান করে। [7] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে এটি একটি সুরক্ষিত রামসার এলাকা হিসাবে মনোনীত হয়েছে । বর্তমানে হ্রদের পরিবেশ দূষণ, পলিকণা , ইউট্রোফিকেশন, অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং কচুরিপানা ইত্যাদির কারণে প্রবর্তিত প্রজাতির কারণে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে এবং এর ফলে স্থানীয় শিকারী মাছ 'সিস্টোমাস কমপ্রেসিফর্মিস' ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছে।