ইউরো অঞ্চল
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইউরো অঞ্চল (উচ্চারণⓘ)(অফিসিয়ালভাবে ইউরো অঞ্চল[7] বলা হয়) হল সাতাশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বিশ সদস্য রাষ্ট্রের একটি মুদ্রা ইউনিয়ন যা তাদের প্রচলিত মুদ্রা এবং একমাত্র বৈধ টেন্ডার হিসাবে ইউরো (€) গ্রহণ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য নয়টি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের নিজস্ব জাতীয় মুদ্রায় ব্যবহার করছে।
ইউরো অঞ্চল | |
---|---|
তথ্য | |
যার নীতি | ইউরোপীয় ইউনিয়ন |
ধরন | মুদ্রা ইউনিয়ন |
মুদ্রা | ইউরো |
প্রতিষ্ঠিত | ১লা জানুয়ারি, ১৯৯৯ |
সদস্যরা | বিশ রাষ্ট্রসমূহ |
শাসন | |
রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ | ইউরো গ্রুপ |
দলের সভাপতি | জেরোন ডাইসোব্লুম |
প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ | ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক |
ইসিবি সভাপতি | মারিও দ্রাগি |
পরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা (২০১৫) | ৩৩,৮৩,৩৫,১২০[1] |
জিডিবি (২০১৪) | €১০.১ ট্রিলিয়ন[2] |
সুদের হার | ০.০৫% (১০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪)[3] |
মুদ্রাস্ফীতি | ০.৪%[4] (২০১৪) |
বেকারত্ব | ১০.৮% (সেপ্টেম্বর ২০১৪)[5] |
বাণিজ্য ভারসাম্য | €২২.৬ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত[6] |
ইউরো অঞ্চলের অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবুর্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং স্পেন নিয়ে গঠিত। অন্য ইইউ রাষ্ট্রসমূহ (ডেনমার্ক ও যুক্তরাজ্য ছাড়া) কোন বিষয় আলোচনা করতে তারা যোগদান করতে বাধ্য।[8] কোন রাষ্ট্রকে বাদ দেওয়া বা বহিষ্কৃত করার কোন বিধান নেই।[9] অ্যান্ডোরা, মোনাকো, সান মারিনো, এবং ভ্যাটিকান সিটি তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহার এবং তাদের নিজস্ব কয়েন ইস্যু করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি রয়েছে।[10][11] কসোভো ও মন্টিনিগ্রো একতরফাভাবে ইউরো গ্রহণ করেছে,[12] কিন্তু এই দেশসমূহ সরকারিভাবে ইউরো অঞ্চলের অংশ না এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) অথবা ইউরোগ্রুপে প্রতিনিধিত্ব করে না।[13]
ইসিবি, একজন সভাপতি এবং জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃবৃন্দের একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত, জোন মুদ্রানীতি নির্ধারণ করে। ইসিবি-এর প্রধান কাজ হল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। যদিও মুদ্রা ইউনিয়নের জন্য শাসন বা রাজস্ব নীতি কোন সাধারণ প্রতিনিধিত্ব নেই, কিন্তু কিছু সহযোগিতা ইউরোগ্রুপ মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়, যা ইউরো অঞ্চল এবং ইউরো সংক্রান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়। ইউরোগ্রুপ ইউরো অঞ্চলের রাষ্ট্রসমূহের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে, কিন্তু জরুরি অবস্থায়, জাতীয় নেতৃবৃন্দ ইউরোগ্রুপ গঠন করে।
২০০৭-০৮ সালের আর্থিক সঙ্কট থেকে, ইউরো অঞ্চল অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রণয়নের বিনিময় সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে জরুরি ঋণ মঞ্জুরের জন্য ব্যবস্থা করেছে। ইউরো অঞ্চল এছাড়াও কিছু সীমিত আর্থিক একীকরণ প্রণয়ন করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, একে অপরের জাতীয় বাজেটের সম্মিলিত পর্যালোচনা করা। ২০১৫ সালে, ইউরো অঞ্চল উনিশটি সদস্য রাষ্ট্র সমান্নয়ে গঠিত যার আয়তন ২.৫০০.০০০ বর্গ কিলোমিটার (প্রায় আর্জেন্টিনার মত একটি রাষ্ট্র) এবং এর জনসংখ্যা ৩৩৮ মিলিয়নের বেশি (প্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মত)।[14]