ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিটিএইচআর), যা স্ট্রাসবার্গ কোর্ট নামেও পরিচিত,[1] ইউরোপ কাউন্সিলের একটি আন্তর্জাতিক আদালত যা ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন ( ইসিএইচআর) ব্যাখ্যা করে। আদালত সেইসকল আবেদনের শুনানি করে অভিযোগ করে যখন একটি চুক্তিকারী রাষ্ট্র অন্য সদস্য রাষ্ট্রের কনভেনশনে উল্লেখ করা এক বা একাধিক মানবাধিকার বা এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল লঙ্ঘন করে। আদালতটি ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে অবস্থিত।
ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত | |
---|---|
চিত্র:European Court of Human Rights logo.svg | |
প্রতিষ্ঠাকাল |
|
অবস্থান | স্ট্রাসবার্গ, ফ্রান্স |
প্রণয়ন পদ্ধতি | সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা নিযুক্ত এবং ইউরোপ কাউন্সিলের সংসদীয় পরিষদ দ্বারা নির্বাচিত |
অনুমোদনকর্তা | ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন |
পদের সংখ্যা | ৪৬ জন বিচারক, ৪৬টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে একজন করে |
তথ্যক্ষেত্র | echr.coe.int |
সম্প্রতি | সিওফ্রা ও'লিয়ারি |
হইতে | ২০১৩ (বিচারক), ২০২০ (সভাপতি) |
আদালতটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৬০ সালে ললেস বনাম আয়ারল্যান্ডে নামক মামলায় প্রথম রায় দেয়। একটি আবেদন একজন ব্যক্তি, ব্যক্তিদের একটি গোষ্ঠী, বা অন্য চুক্তিকারী রাষ্ট্রগুলোর এক বা একাধিক দ্বারা দায়ের করা যেতে পারে। রায় ছাড়াও, আদালত উপদেষ্টা মতামত জারি করতে পারে। কনভেনশনটি কাউন্সিল অফ ইউরোপের প্রেক্ষাপটে গৃহীত হয়েছিল এবং এর ৪৬টি সদস্য রাষ্ট্রের সবকটিই কনভেনশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। বিচারিক ব্যাখ্যার আদালতের প্রাথমিক মাধ্যম হলো জীবন্ত উপকরণ মতবাদ, যার অর্থ হলো কনভেনশনটি বর্তমান সময়ের অবস্থার আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন পণ্ডিতরা ইসিটিএইচআর-কে বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আদালত বলে মনে করেন। [2][3][4][5][6] তা সত্ত্বেও, চুক্তিকারী পক্ষগুলোর রায় বাস্তবায়িত না করার কারণে এই আদালত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে।