আলিয়া-কওমি মাদ্রাসা সম্পর্ক
From Wikipedia, the free encyclopedia
আলিয়া-কওমি মাদ্রাসা সম্পর্ক হলো ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান দুইটি ধারা আলিয়া মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসার মধ্যে সম্পর্কিত আলোচ্য বিষয়বস্তু।[1] দুইটি শিক্ষা ব্যবস্থাই যথাক্রমে ভারতের কলকাতা ও সাহারানপুর থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।[2] এ দুই প্রকারের মাদ্রাসার মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে।[3] তবে এই দুই শিক্ষা ব্যবস্থার পূর্বে ভারতবর্ষে ইসলামি সাম্রাজ্যের সময় দারসে নিজামি ছিল উভয়ধারার মাদরাসার অভিন্ন পাঠ্যক্রম। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় আল কুরআন, আল হাদিস, আল ফিকহ, আরবি সাহিত্য, মানতিক, হিকমত ও প্রাচীন দর্শন, সিহাহ সিত্তাহ কিতাব প্রভৃতি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করতো।[4] রাজনৈতিক বিবেচনায় আলিয়া মাদ্রাসাসমূহে ছাত্র রাজনীতির উপস্থিতি রয়েছে, অপরদিকে কওমি মাদ্রাসাসমূহে ছাত্র রাজনীতি নেই।[5] আলিয়া মাদ্রাসা সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয়, অপরদিকে কওমি মাদ্রাসা জনসাধারণের দানের টাকায় পরিচালিত হয়।[6]
১৯৫২ সালে আলিয়া ও কওমি ঘরানার আলেমদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিলো, এই বৈঠকে উভয় দল সম্মিলিতভাবে ২২ দফার একটি অভিন্ন রুপরেখা তৈরি করে। যার ভিত্তিতে ১৯৫৬ সালের ইসলামী সংবিধান সংবিধান রচিত হয়েছিলো।[7][8]
কওমি আলেম আ ফ ম খালিদ হোসেন এই দুই মাদ্রাসা সম্পর্কে বলেছে,
“ | ভারতীয় উপমহাদেশে সময়ের প্রয়োজনে এ দু’টি মাদরাসা শিক্ষাধারার উদ্ভব হয়েছে: একটি আলিয়া, অপরটি কওমি। আলিয়া পদ্ধতি চালু হয়েছে ১৭৮০ সালে আর কওমি শিক্ষাপদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে ১৮৬৬ সালে। দুইটার প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও এগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন ছিলো। | ” |
— আ ফ ম খালিদ হোসেন, https://www.dailynayadiganta.com/sub-editorial/484635 |