আয়াবালি
উনিশ শতকে দক্ষিণ ভারতে উদ্ভুত হিন্দু সম্প্রদায় / From Wikipedia, the free encyclopedia
আয়াবালি (তামিল: அய்யாவழி, মালয়ালম: അയ്യാവഴി, প্রতিবর্ণী. Ayyāvaḻi, আক্ষ. অনু. গুরুর পথ) হল উনিশ শতকে দক্ষিণ ভারতে উদ্ভুত হিন্দু সম্প্রদায়।[1]
আয়া বৈকুন্দরের জীবনদর্শন ও ধর্মপ্রচার কেন্দ্রিক আয়াবালি ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আকিলাথিরাত্তু আম্মানাই এবং আরুল নূল। আয়া বৈকুন্দর ছিলেন নারায়ণের পূর্ণ অবতার।[2] হিন্দুধর্মের সাথে আয়াবালি’র বিশ্বাস এবং অনুশীলনগত অনেক ধারণার সাদৃশ্যতা আছে, কিন্তু ভালো-মন্দ এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। ধর্ম ভিত্তিক হওয়ার কারণে আয়াবালিকে একটি ধর্মীয় বিশ্বাস হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
আয়াবালি উনিশ শতকে হিন্দু সম্প্রদায় হিসেবে সর্ব প্রথম জনসাধারণের নজরে আসে।[3] আয়াবালি নারায়ণ গুরু[4] এবং রামালিঙ্গ স্বামীগাল সহ বেশ কয়েকটি সংস্কার আন্দোলনের সূত্রপাত করে।[5] আয়া বৈকুন্দরের কার্যক্রম এবং অনুসারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ১৯ শতকের ট্রাভাঙ্কোরিয়ান [6] এবং তামিল সমাজে ব্যাপক বৈপ্লবিক সংস্কার সাধন করে,[7] দক্ষিণ ভারতের তৎকালীন সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে অবাক করে দেয়।
আয়াবালি অনুসারীরা সমগ্র ভারত জুড়ে ছড়িয়ে থাকলেও মূলত দক্ষিণ ভারতে সংখ্যাধিকভাবে,[8] বিশেষ করে তামিলনাড়ু এবং কেরালায় অধিক সংখ্যক বসবাস করে।[9] আদমশুমারির সময় আয়াবালিদের হিন্দু হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়[10] তাই অনুসারীদের সঠিক সংখ্যা অজানা। তারপরও সংখ্যায় ৮,০০০,০০০ থেকে ১০,০০০,০০[11] ধারনা করা হয়।