আন্তাক্য
From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্তাক্য (Antakya) (তুর্কি উচ্চারণ: [ɑnˈtɑkjɑ]; স্থানীয় তুর্কি: Anteke) হলো তুরস্কের হাতায় প্রদেশের একটি পৌরসভা এবং জেলার রাজধানী। আনতিয়োচিয়া (প্রাচীন গ্রিক : Ἀντιόχεια; আর্মেনিয়ান: Անտիոք; লাতিন ভাষায়: Antiochia) নামটির আধুনিক রূপ হলো Antakya। এর আয়তন ৭০৩ বর্গকিলোমিটার এবং ২০২২ সালের জনসংখ্যা ৩৯৯,০৪৫। এটি তুরস্কের সর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত প্রদেশ হাতায়- এর রাজধানী। Antakya শহরটি লেভানটাইন সাগর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে, অরন্টেস নদীর উর্বর উপত্যকায় অবস্থিত।[1]
আন্তাক্য | |
---|---|
মেট্রোপলিটন পৌরসভা | |
মানচিত্র হাতায় প্রদেশের আন্তাক্যা জেলা দেখাচ্ছে | |
মানচিত্র হাতায় প্রদেশের আন্তাক্যা জেলা দেখাচ্ছে | |
স্থানাঙ্ক: ৩৬°১২′০৯″ উত্তর ৩৬°০৯′৩৮″ পূর্ব | |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ৭০৩ বর্গকিমি (২৭১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬৭ মিটার (২২০ ফুট) |
জনসংখ্যা (2022)[1] | |
• মোট | ৩,৯৯,০৪৫ |
এলাকা কোড | 0326 |
ওয়েবসাইট | www |
বর্তমান শহরটি আংশিকভাবে প্রাচীন আনতিয়োচিয়ার (প্রাচীন গ্রিক : Ἀντιόχεια, Antiókheia, "অরন্টেসের আনতিয়চিয়া" নামেও পরিচিত) অবস্থানে গড়ে উঠেছে, যেটি সেলুসিড সাম্রাজ্য কর্তৃক চতুর্থ শতাব্দীতে খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে আনতিয়োচিয়া রোমান সাম্রাজ্যের বৃহত্তম শহরগুলির একটিতে পরিণত হয়, এবং সিরিয়া ও কোয়েল-সিরিয়া প্রদেশের রাজধানী হিসেবে নিযুক্ত হয়। আনতিয়োচিয়া প্রাথমিক খ্রিস্টধর্মের একটি প্রভাবশালী কেন্দ্র ছিল। নতুন নিয়ম বা বাইবেলে উল্লেখ আছে "খ্রিস্টান" নামটি প্রথম আনতিয়োচিয়াতেই আত্মপ্রকাশ করেছিল। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শাসনামলে শহরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদা লাভ করে। সপ্তম শতকে উমর ইবনুল খাত্তাব কর্তৃক দখলের পর, মধ্যযুগীয় Antakiyah (আরবি: أنطاكية, ʾAnṭākiya) বেশ কয়েকবার জয় বা পুনর্বিজিত হয় : ৯৬৯ সালে বাইজান্টাইনরা, ১০৮৪ সালে সেলজুকরা, ১০৯৮ সালে ক্রুসেডাররা, ১২৬৮ সালে মামলুকরা এবং শেষ পর্যন্ত ১৫১৭ সালে উসমানীয়রা এটি দখল করে এবং আলেপ্পো আইয়ালেটের সাথে (পরে আলেপ্পো ভিলায়েত) অন্তর্ভুক্ত করে। ফরাসি ম্যান্ডেটের অধীনে শহরটি হাতায় রাষ্ট্রে যোগদান করে এবং পরে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।[2]
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, কাহরামানমারাশকে কেন্দ্র করে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে শহরটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেন্ট পলের গির্জাসহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংস হয়ে যায়। এই ভূমিকম্পে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আনতাকিয়া অবস্থিত হাতায় প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ২০,০০০-এরও বেশি বলে অনুমান করা হয়।[3]