আন্তর্জাতিক জলভাগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্তর্জাতিক জলভাগ বা আন্তঃসীমানা জলভাগের শর্তাদি প্রয়োগ হয় সমুদ্র, বৃহৎ সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান, বদ্ধ বা আধা-বেষ্টিত আঞ্চলিক সমুদ্র ও মোহনা, নদী, হ্রদ, ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবস্থা (জলজ) এবং জলাভূমির মত যে কোনও ধরনের জলাভাগে (বা তাদের নিকাশী অববাহিকা)।[1]
আন্তর্জাতিক জল বা জলভাগ (উচ্চ সমুদ্র) কোনও রাষ্ট্রের এখতিয়ারে অন্তর্ভুক্ত নয়, যা 'মেরে লিবারাম' মতবাদের অধীনে পরিচিত। রাষ্ট্রগুলির মৎস্য শিকার, নৌযাত্রা, উড়ান, কেবল ও পাইপলাইন স্থাপনের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণার অধিকার রয়েছে।
উচ্চ সমুদ্রের সম্মেলনটি ১৯৫৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়, এই সম্মেলনে ৬৩ জন স্বাক্ষরকারী ছিলেন, উচ্চ সমুদ্রর অর্থ, "সমুদ্রের সমস্ত অংশ রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সমুদ্র বা অভ্যন্তরীণ জলভাগে অন্তর্ভুক্ত নয়" এবং "কোন রাষ্ট্র উচ্চ সমুদ্রের যে কোনও অংশকে তার সার্বভৌমত্বের অধীনে বৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে না"।[2] ১৯৮২ সালে স্বাক্ষরিত সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসঙ্ঘের কনভেনশনের (ইউএনসিএলওএস) ভিত্তি হিসাবে উচ্চ সমুদ্রের কনভেনশনটি ব্যবহৃত হয়েছিল, যেটি বেসলাইন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (২৩০ মাইল; ৩৭০ কিমি) বিস্তৃত একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেখানে উপকূলীয় রাষ্ট্রসমূহের জলভাগ ও সমুদ্র তলের পাশাপাশি সেখানে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে।[3]
উচ্চ সমুদ্র গ্রহটির উপরিভাগের ৫০% অংশ ও সমুদ্রের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে।[4]