আজারবাইজানের ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
আজারবাইজান (আজারবাইজানি: Azərbaycan) ইউরেশিয়ার ককাসাস অঞ্চলের একটি দেশ। আজারবাইজানের ইতিহাসে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতার অবদান আছে। এগুলি হল ১১শ শতকের সেলজুক তুর্কি জাতি এবং প্রাচীন পারসিক জাতির সভ্যতা। আজারবাইজান নামটি সম্ভবত ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ "অগ্নিভূমি"। শব্দটি দিয়ে আজারবাইজানের খনিজ তেল সম্পদ (প্রাচীনকাল থেকেই এগুলি সম্বন্ধে জানা ছিল) এবং জরথুষ্ট্রবাদের একটি কেন্দ্র হিসেবে এর ভূমিকা-দুইই নির্দেশ করা হয়। ইরানীয় দুই প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজান ও পশ্চিম আজারবাইজান স্বাধীন আজারবাইজান রাষ্ট্রের সীমান্তে অবস্থিত। তবে আধুনিক যুগে এসে এই তিনটি একত্রে মিলে একটিমাত্র রাষ্ট্র গঠন করেনি।
৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে আরবদের আজারবাইজান বিজয় ও এখানকার লোকদের ইসলাম ধর্মে রূপান্তরের[1] ঘটনার আগে আজারবাইজানের ইতিহাস কী ছিল, তা সম্বন্ধে সঠিক জানা যায় না। আরব সাম্রাজ্যের পতনের পরে মঙ্গোল জাতি আজারবাইজানে ধ্বংসলীলা চালায়। তবে ১৩শ-১৫শ শতকে মঙ্গোল ইল-খান, স্থানীয় শিরভান শাহ এবং পারস্যের সাফাভিদ রাজবংশের অধীনে এলাকাটি পুনরায় সমৃদ্ধি লাভ করে।
ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার মধ্যকার স্থলবাণিজ্যপথের উপর এবং কাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত বলে বহু শতাব্দী ধরে রাশিয়া, পারস্য এবং উসমানীয় শাসকেরা আজারবাইজান দখলের লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল। অবশেষে ১৮২৮ সালে তুর্কমেনচায় চুক্তির মাধ্যমে রুশরা আজারবাইজান অঞ্চলটি পারস্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। একই সাথে স্থানীয় আজারবাইজানি খানদের রাজবংশের সমাপ্তি ঘটে। ঐ সময়ে নির্ধারিত সীমান্তই আজারবাইজান ও ইরানের বর্তমান সীমান্ত নির্ধারণ করেছে। ১৮৭০-এর দশক থেকে আজারবাইজানের তেলক্ষেত্রগুলির আধুনিক নিষ্কাশন শুরু হয় এবং এর ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে একাকাটি অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করে।