অ্যাসপারগারের সংলক্ষণ
স্নায়বিক-বিকাশগত সমস্যা যা সামাজিক আচরণকে প্রভাবিত করে / From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যাসপারগারের সংলক্ষণ বলতে এক প্রকার আত্মসংবৃতি-কে বোঝায় যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শৈশব এবং জীবনব্যাপী বিকাশ প্রক্রিয়ায় এক প্রকার ত্রুটি বা পার্থক্য ঘটে যার ফলে ব্যক্তি র সামাজিক আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এই লক্ষণসমূহের ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অলিখিত সামাজিক নিয়মাবলী বুঝতে পারেন না এবং মুখের ভাব-ভঙ্গির মাধ্যমে এবং শরীরী ভাষায় বোঝানো নির্দেশ বুঝতে পারেন না। এরা সাধারণত প্রবল উদ্দীপকের অনুভূতি সহ্য করতে পারে না এবং প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে পড়ে। সাধারণতঃ এই লক্ষণসমূহ বিশিষ্ট ব্যক্তি র ছবিতে চিন্তা করার ক্ষমতা প্রবল হয় এবং যুক্তিতর্ক করার ক্ষমতাও ভাল হয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে চলবার জন্য প্রয়োজনীয় নানা দক্ষতার অভাব দেখা যায়। অ্যাসপারগারের সংলক্ষণকে সাধারণভাবে আত্মসংবৃতির অন্তর্গত বলে গণ্য করা হয়।
আত্মসংবৃতির প্রকাশ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ঘটে। আধুনিক গবেষণা মতে, প্রতি হাজারে ১-২ জন অটিজম এবং এক হাজারে ৬ জন এএসডি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে ১৯৮০ সালের পর থেকে আক্রান্ত হয়েছে জানা গেছে এমন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তবে এর পিছনে উন্নত রোগ নির্ণয় পদ্ধতি এবং সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল কারণ বলে বিবেচিত হয়।সারা পৃথিবীতে কত মানুষ অ্যাসপারগারে ভুগছেন তার সমন্বিত পরিসংখ্যান নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ২০১৪ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রতি ৬৮জন নবজাতকের মধ্যে ১জন অ্যাসপারগার বিকলনে আক্রান্ত। এ প্রাক্কলন অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ লক্ষ মানুষে অ্যাসপারগারের সংলক্ষণ রয়েছে।[1]
১৯৪০-এর দশকে অ্যাসপারগারের সংলক্ষণ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হলেও অনেক পরে ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগের পূর্ব পর্যন্ত এ বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব লাভ করে নি।[2] অ্যাসপারগারের সংলক্ষণ ১৯৪৪ থেকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হতো। ২০১৩ থেকে এটিকে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার এর মধ্যে অঙ্গীভূত করা হয়েছে।[3] অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার-এ আক্রান্তদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ অ্যাসপারগারের সংলক্ষণে ভুগছে।[1]