অ্যানা উইন্টার
From Wikipedia, the free encyclopedia
ডেইম অ্যানা উইন্টার ( জন্ম ৩ নভেম্বর ১৯৪৯) একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক এবং সম্পাদক।[1] তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এছাড়াও তিনি ২০১৩ সাল থেকে ভোগ প্রকাশ করে আসা আমেরিকান ম্যাস মিডিয়া কোম্পানী কন্ডে ন্যাস্টের একজন শিল্প নির্দেশক। ট্রেডমার্ক পেইজবয় বব কাট চুল এবং কালো চশমারধারী উইন্টার ফ্যাশন জগতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ফ্যাশনে ধারা সৃষ্টিকারী তার চোখ এবং তরুণ ডিজাইনারদের প্রতি সমর্থনের জন্য সুধী মহলে তিনি বেশ প্রশংসিত। নির্লিপ্ত আচরণ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের জন্য তাকে “নিউক্লিয়ার উইন্টার” বলে ডাকা হয়।
ডেইম অ্যানা উইন্টার | |
---|---|
জন্ম | (1949-11-03) ৩ নভেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৪) হ্যাম্পস্টেড, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
নাগরিকত্ব | যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র |
শিক্ষা | নর্থ লন্ডন কলেজিয়েট স্কুল |
পেশা | ম্যাগাজিন সম্পাদক, ফ্যাশন জার্নালিস্ট |
কর্মজীবন | ১৯৭৫ - বর্তমান |
নিয়োগকারী | কনডে ন্যাস্ট পাবলিকেশন্স |
পরিচিতির কারণ | প্রধান সম্পাদক, ভোগ (যুক্তরাষ্ট্র) আর্টিস্ট ডিরেক্টর, কনডে ন্যাস্ট |
উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব | সহকারী সম্পাদক, হার্পার্স এন্ড কুইন, হার্পার্স বাজার; ফ্যাশন সম্পাদক, ভিভা, স্যাভভি, নিউইয়র্ক; ক্রিয়েটিভ পরিচালক, যুক্তরাষ্ট্র ভোগ; প্রধান সম্পাদক, ব্রিটিশ ভোগ এবং হাউস এন্ড গার্ডেন |
পূর্বসূরী | গ্রেস মিরাবেল্লা |
বোর্ড সদস্য | মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডেভিড শ্যাফার (বি. ১৯৮৪; বিচ্ছেদ. ১৯৯৯) |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা | চার্লস উইন্টার এলেনর ট্রেগো বেকার |
আত্মীয় | প্যাট্রিক উইন্টার (ভাই) |
স্বাক্ষর | |
তার বাবা চার্লস উইন্টর ছিলেন লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের (১৯৫৯-৭৬) সম্পাদক। কীভাবে একটি পত্রিকা প্রজন্মের তরুনদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে সে বিষয়ে তিনি উইন্টারকে অনেক শিক্ষা দিয়েছেন। টিনএজ বয়সে তিনি ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। দুটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিনে ফ্যাশন সাংবাদিক হিসেবে তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তরাস্ট্রে চলে আসেন এবং নিউইয়র্ক ও হাউস এন্ড গার্ডেন ম্যাগাজিনে কিছুদিন কাজ করেন। এরপর তিনি আবার লন্ডনে ফিরে আসেন এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিনে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বছর খানেক পরে তিনি নিউইয়র্কের ফ্র্যাঞ্চাইজি পত্রিকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং এর প্রকাশনার অচলাবস্থা পুনরুজ্জীবিত করেন। তার প্রকাশিত ম্যাগাজিনগুলো নিয়ে সেই সময় নানা বিতর্ক তৈরি হয়। ফ্যাশনে পশুর লোমের তৈরি কোট প্রচারের জন্য পশু অধিকার কর্মীদের দ্বারা তিনি আক্রমনের শিকার হন। অন্য সমালোচকেরা তার নারীত্ব ও সৌন্দর্যের অভিজাত দিকটি প্রচারের নিন্দা করেন।
অ্যানা উইন্টারের জীবন কাহিনী অবলম্বনে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী লরেন উইসবার্গার ২০০৩ সালে লেখেন বেস্টসেলিং রোম্যান এ ক্ল্যাফ দ্যা ডেভিল ওয়ার্স প্রাডা। পরবর্তিতে এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি ব্যবসা সফল সিনেমা নির্মিত হয় যেখানে মেরিল স্ট্রিপ মিরান্ডা প্রিস্টলি নামে এক ফ্যাশন সম্পাদকের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০০৯ সালে তার জীবন কাহিনী নিয়ে আর.জে. কাটলার দ্যা সেপ্টেম্বর ঈস্যু নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।